বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কেন রহস্যময়!

জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদক

কয়েকদিন আগে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, প্রাকৃতিক কারণেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল  প্রায় পাঁচ লাখ বর্গকিলোমিটার অংশে এক বিশেষ ধরনের মেঘ তৈরি হয়।  ফলে ওই এলাকায় বায়ুপ্রবাহের অনেকটা  গতিও বেড়ে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উন্নীত হয়।  এ জন্যেই নাকি বার বার দিক ভ্রষ্ট হয় ওই এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান বা কোনও জাহাজ।

জোরালো বায়ুপ্রবাহের ফলে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু ঢেউ তৈরি হয় ওই এলাকায়। তবে এই তথ্য কতটা  নিখাঁদ, সেটা গবেষণার বিষয়। এ তো গেল বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কথা। কিন্তু সেটা ছাড়াও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক রহস্য  যার প্রকৃত ব্যাখ্যা  মিলছে না আজো। পড়ুন সেসব রহস্যময় কয়েকটি বিষয়-

আরো পড়ুন….২০০ বছরের ডুবন্ত জাহাজ এগিয়ে আসছে ডাঙার দিকে!

বিগ ফুট
মূলত আমেরিকা এবং কানাডার পার্বত্য এলাকাতেই নাকি এদের দেখা মেলে! অন্তত এমনটাই শোনা যায়।
আদতে আমেরিকায় যা বিগ ফুট নামে পরিচিত, তাকে আমরা সাধারণ ভাষায় ইয়েতি বলে থাকি। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ইয়েতির ছবি সামনে এসেছে। বরফে ঢাকা পাহাড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে বিশালাকার গোরিলার মতো প্রাণী! ইয়েতির অস্তিত্ব নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় চর্চার শেষ নেই। কিন্তু বাস্তবে তার অস্তিত্ব রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

দ্য তাওস হাম
নিউ মেক্সিকোর উত্তরে সাংগ্রে দে ক্রিস্টো পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট শহর তাওস। মেক্সিকো তো বটেই, সারা বিশ্বের কাছে এই ছোট্ট শহরের আকর্ষণের কারণটা অন্য।
প্রতি মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে দূরের কোথাও থেকে ভেসে আসে অদ্ভুত একটা শব্দ। টানা বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই আওয়াজ। যেটা খানিকটা ডিজেল রেল ইঞ্জিনের মতো। মজার বিষয়, তাওস শহরের আশপাশে কোনও রেল লাইন নেই। এমনকী, কোনও কারখানাও নেই। তাহলে আওয়াজটা আসে কোথা থেকে? বিশ্বের তাবড় শব্দবিজ্ঞানী শত চেষ্টা করেও এই শব্দের উৎসের সন্ধান দিতে পারেননি।

স্টোনহেঞ্জ
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে আড়াআড়িভাবে দাঁড় করানো বেশ কিছু পাথরখণ্ড। এটাই হল স্টোনহেঞ্জ। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের অ্যামস্‌বেরি এলাকায় অবস্থিত স্টোনহেঞ্জ।
খানিকটা বৃত্তের আকারে সাজানো পাথরগুলি। ইতিহাসবিদেরা বলেন, খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ সালে তৈরি করা হয়েছিল স্টোনহেঞ্জ। কিন্তু কী কারণে স্টোনহেঞ্জ তৈরি, সেই উত্তর মেলে না। অনেকের মতে, ওই সময়ে মানুষ মারা গেলে ধর্মীয় কারণে এইভাবে পাথর সাজানো হতো। আবার অনেকের মতে, সেকালের মানুষেরা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতেই স্টোনহেঞ্জ নির্মাণ করেছিল।

জ্যাক দ্য রিপার

অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকের লন্ডনের এক কুখ্যাত খুনি জ্যাক দ্য রিপার। প্রকৃত নাম জানা না গেলেও, এই নামেই পরিচিত সেই খুনে।
খাস লন্ডন শহরে ১১ জনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল জ্যাক দ্য রিপার। যারা প্রত্যেকেই মহিলা। এবং তাদের অধিকাংশই দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জ্যাক দ্য রিপার ওই মহিলাদের মুখে এমনভাবে আঘাত করত অথবা তাদের মাথা থেঁতলে দিত, যাতে তাদের কোনওভাবেই চেনা না যায়। কিন্তু জ্যাক দ্য রিপার কেন ওই মহিলাদের হত্যা করেছিল, তা জানা যায়নি। অনেক চেষ্টা করেও জ্যাক দ্য রিপারের টিকিও ছুঁতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ। পূর্ব লন্ডনেই তার দৌরাত্ম্য বেশি ছিল।

নাজকা লাইন্‌স
পেরুর নাজকা মরুভূমির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই নকশি কথা। এমনিতে খুব একটা বোঝা না গেলেও, বিমান চড়ে গেলে কিংবা আশপাশের পাহাড়চূড়ায় উঠলে নকশাগুলো চোখে পড়ে।
কোনওটা হনুমানের অবয়ব। কোনওটা পাখির। আবার কোনওটা মাকড়সার। নকশাগুলো এতটাই নিখুঁত, যে প্রশ্ন ওঠে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া কীভাবে এই অবয়বগুলো তৈরি করেছিল সেই যুগের মানুষ? এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি! বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টা

লক নেসের দৈত্য

১৯৩৩ সালের ২ মে। একটি সাদাকালো ছবি প্রকাশিত হয়েছিল স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদপত্রে। ওই একটি ছবিতেই তোলপাড় বিশ্ব!
প্রশ্ন উঠেছিল, স্কটল্যান্ডের লক নেস হ্রদে তাহলে কি জলদৈত্যের বাস? যে প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা এখনও চলছে। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, লক নেসের জলে সাঁতার কেটে চলেছে এক দৈত্যাকার প্রাণী। আকারে খানিক ডাইনোসরের মতোই! অনেক স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেছিলেন, লক নেসের জলে ওই জলদৈত্য নাকি দেড় হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে লক নেসে একাধিকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েও সেই জলদৈত্যের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

Comments are closed