ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ

Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদক

ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেসবুক প্রধান। কারন ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ এনালিটিকা। তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, এমন তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়।

ফেসবুক থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির অভিযোগে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই জানাজানি হয় বিষয়টি। যার জেরে ব্রিটেনে সমনের মুখে পড়তে হয়েছে মার্ক জুকেরবার্গকে। পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে ওঠায় মুখ খুলতে বাধ্য হলেন ফেসবুক সিইও৷

ওয়াশিংটন: মুখ খুললেন ফেসবুক স্রষ্টা মার্ক জুকেরবার্গ। সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য চুরির যে অভিযোগ উঠেছে তা স্বীকার করে তিনি ক্ষমা চাইলেন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে। একই সঙ্গে সংস্থার কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে জুকেরবার্গ জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পরিষেবা দেওয়ার কোনও অধিকার তাদের নেই।

গত সোমবার ফেসবুকের তথ্য বেহাত হওয়ার খবর ছড়ালে শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ পড়ে যায়। এতে কোম্পানির ৩ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। ফেসবুকে জাকারবার্গের শেয়ার ১৬ শতাংশ। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সম্পদ ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার কমে ৬ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেছেন, এ ঘটনার জন্য তিনি ‘সত্যিই দুঃখিত’। ‘দুর্বৃত্তপনায় যুক্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বুধবার ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখে সব দায়ভার নিজের ওপর চাপিয়েছেন। ৩৩ বয়সী জুকেরবার্গ জানিয়েছেন, আপনাদের তথ্য সুরক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি তা না পারি, তবে আমাদের সেবা দেওয়ার কোনো অধিকার থাকবে না।

জাকারবার্গ আরও বলেছেন যে, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের তথ্যে ঢোকার সুযোগ আছে। এমন সব অ্যাপ নিয়ে তদন্ত করবে। কোনো অ্যাপের কার্যক্রম সন্দেহ হলে পুরো ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। অডিটে রাজি না হলে সব অ্যাপ বাতিল করা হবে। ভবিষ্যতে অ্যাপ নির্মাতাদের তথ্যের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অ্যাপে সাইন ইন করার সময় নাম, ছবি আর ই-মেইল অ্যাড্রেসের বাইরে আর কিছু দেওয়া হবে না। কারও কাছ থেকে তথ্য নিতে হলে তাঁর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু হবে। এ ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেছেন জাকারবার্গ।