বিশেষ প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা উত্তর পশ্চিমে সরে গিয়ে কলকাতার গঙ্গাসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে।
বর্তমানে এটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানা যায়, এটি উত্তর, পূর্ব দিকে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে কলকাতার শ্যামনগর ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূলের ওপর দিয়ে খুলনা অতিক্রম করতে পারে।
এর আগে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায রয়েছে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরগুলোসমূহ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরসহ এর আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে ভারী বর্ষণসহ বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।