হার্টকে বাঁচাতে হলে নিয়মিত খান এই ৭ খাবার

ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদক

হর্টের উপসর্গ  বা সমস্যা এখন বলা যায় ঘরে-ঘরে।কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন আহারের ক্ষেত্রে একটু সচেতন  হার্টকে অনেকটা নিরাপদ রাখা সম্ভব।  এতে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

তাহলে কী কী খাবারকে দিনের আহার তালিকায় সঙ্গী বানাতে হবে? আসুন জেনে নেই সে সব। 

বাদাম

 গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এক মুঠো  বাদাম খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি আর্টারির ভেতরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকেই না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি  হার্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে যায়।

গাজর

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাঁচা গাজর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে যে তার প্রভাবে হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস রোগে  আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।   তাই  দীর্ঘ দিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয়, তাহলে গাজরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।

মিষ্টি আলু

 হার্ট চাঙ্গা রাখতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ  খাবার হচ্ছে মিষ্টি আলু। এ জন্য সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন মিষ্টি আলু দিয়ে বানানো নানা পদ খেতে পারেন! কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ফাইবার এবং লাইকোপেন শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের সক্ষমতা দ্রুত  বৃদ্ধি পায়। 

অর্জুন ছাল

অর্জুন  গাছের ছালে  প্রচুর মাত্রায়  টেনিনস, ট্রাইটারপেনোয়েড স্যাপোনিস এবং ফ্লেবোনয়েডের মত একাধিক উপকারি উপাদান রয়েছে। যা   খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপশি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। আর্জুন গাছের ছাল অল্প পরিমাণে নিয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে তা ফুটিয়ে নিয়ে পান করলে উপকার মেলে।

আদা

আদা এই প্রাকৃতিক মনলা উপাদানটি  খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অ ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।  হার্টের ভেতরে  যাতে প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এক কথায় সব দিক থেকে হার্টকে নিরাপত্তা প্রদানে আদার  বিকল্প নেই।

গ্রিন টি

গ্রিন টি হার্টেএর জন্তেয খুবই উপকারি।  এর উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে যাতে কোনোভাবে এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে।

 কাঁচা মরিচ

 হার্টকে সুস্থ রাখতে কাঁচা মরিচের বাস্তবিকই কোনো বিকল্প হয় না। আসলে এতে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান, ব্লাড ভেসেলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।  সঙ্গে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা অক্ষুন্ন  রাাখে।