এই সময়ে জর ও কাশির ক্ষেত্রে করনীয়

Spread the love

আয়না২৪ স্বাস্থ্য

এই সময়ে হুট করে জ্বর–কাশি হতে পারে। আর জ্বর হলেই প্রথমে যে আমরা ঔষধ খবার চিন্তা করি এটা বাদ দেওয়া উচিৎ। ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বরের এই প্রকোপ নতুন কিছু নয়। এখন শেষরাত ও ভোররাতে তাপমাত্রা কমে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রার এই ওঠানামার ফলে কিছু কিছু ভাইরাস শরীরের ওপর আক্রমণের সুযোগ পায়। আবহাওয়ায় তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে যাঁরা খাপ খাওয়াতে পারেন না, তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বরসহ সর্দি-কাশিতে।

বারবার কাশি হচ্ছে, রাতে বেশি কাশি, কাশতে কাশতে কখনও বমি হয়ে যাচ্ছে, কখনও বা কাশির সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা। এমনটা মাঝে মাঝেই হয়। আর জ্বর হলে মুখে কোনোকিছুই যেন রোচে না। তখন মধুকেও যেন চিরতার রস মনে হয়। স্বাভাবিক সব খাবার বন্ধ করে তখন খেতে হয় পথ্য ধরনের খাবার। মুখে না রুচলেও একপ্রকার জোর করেই খেতে হয়। তবে এমনকিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি জ্বর সারাতে সাহায্য করবে।

 

আসুন জেনে নেই এমনই কিছু খাবারের কথা যা আমাদের জর ও কাশির ক্ষেত্রে উপকারী হবে

জরের ক্ষেত্রে

# যে কোনও নরম খাবার যেমন সবজি, ডিমসেদ্ধ ইত্যাদি খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। ভাত চটকে খাওয়া যাদের পছন্দ নয় তারা এই খাবারগুলি খেতে পারেন। এগুলি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

# আদার মতোই রসুনও সর্দিজ্বর নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এককাপ মতো পানি তে একটি কোয়া ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই ইষদুষ্ণ পানি দিনে দুইবার খেলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।

# আপেল,কমলালেবু,আঙুর,আনারস ইত্যদি ফলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। তাই জ্বরের সময় ফ্রুট সালাদ খাওয়া উচিত বেশি করে।

# দিনে দুইবার কমলালেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।

কাশির ক্ষেত্রে

# খুসখুসে কাশির একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ধূমপান। আর ঠান্ডা লাগলে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপান পরিহার হরতে হবে।

# প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, এতে কফ পাতলা হবে, কফ বের করার চলন্ত সিঁড়ি ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।

# শুকনো কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখে যে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাওয়া যাবে।

# তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার ওপর ভাইরাসের সক্রিয় হয়ে ওঠা নির্ভর করে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ভাইরাল ফিভার— যে কোনও জীবাণু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যতটা সম্ভব পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থেকে সচেতনতা অবলম্বন করা দরকার।

জ্বর কমানোর ব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দেওয়া অর্থাৎ স্পঞ্জিং করা উচিত। অবশ্যই প্রচুর পরিমাণ পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে। একই সঙ্গে একটু বিশ্রামে থাকতে হবে। বিশ্রাম নিলে খুব দ্রুত জ্বরটা কমে যায়।