আয়না২৪
রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ছয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গত রোববার রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নব্য জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), একই এলাকার জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ার চরের সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল (৩০), দিনাজপুরের বিরামপুরের সরোয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩৩), বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি (৩০) ও রংপুরের পীরগাছার পলাতক জেএমবি সদস চাঁন্দু মিয়া (২০)।
১৩ আসামির মধ্যে দুজন পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন চান্দু মিয়া (২০) ও রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫)।
এছাড়া অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী (২৬), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাদাত ওরফে রতন মিয়া (২৩) ও তৌফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৫), আবু সাঈদ (৩০), বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার (৩৫) এবং বগুড়ার শাজাহানপুরের পলাতক রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধনকে (২৫) বিচারক খালাস দিয়েছেন।
সরকারি কৌঁসুলি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, এ মামলায় ৫২ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
নিহত রহমত আলী টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চৈতার বাজারে তার একটি ওষুধের দোকানও রয়েছে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে চৈতার মোড়ে জেএমবি সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে তাকে হত্যা করে।
তিনি ছিলেন সুরেশ্বর পীরের অনুসারী ও মাজারের খাদেম ছিলেন। তার বাড়িতেই দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।