আয়না২৪ নিজেস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’- এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে আগুনে পোড়াসহ বিভিন্নভাবে দগ্ধদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নতুন দিক খুলে দেবে। রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে এটি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অন্যতম সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, মূলত পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য এমন একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট এদেশে স্থাপন করা হচ্ছে যার স্বপ্ন তিনি সারাজীবন দেখেছেন। সেই স্বপ্নটি এবার বাস্তবায়ন হতে দেখে ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্বের কোথাও এত বড় বার্ন ইনস্টিটিউট নেই। এটি একাধারে পোড়া রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণা ও অধ্যয়নের আদর্শ কেন্দ্র বলে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি পাবে।
জানা গেছে, রাজধানীর চাঁনখারপুলে ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দুই একর জমিতে ১৮ তলাবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে ৫২২ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ৯১২ কোটিতে দাঁড়ায়। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁনখারপুলে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২৭ এপ্রিল বাংলদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
জানা যায়, বহুতল বিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটির মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট নির্মাণ করা আছে। সেখানে গাড়ি পার্কিং এবং রেডিওলজিসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটটিতে প্রায় ৫০০টি শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং ১২টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় এ ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।