লাল মাংস প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ

Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

 লাল মাংস ভোজীদের জন্য  দুঃসংবাদ দিয়েছেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার উইলেট।  সম্প্রতি  এক গবেষণা প্রতিবেদনে ওয়াল্টার উল্লেখ করেছেন, কোন ধরণের লালমাংস আপনার জীবন থেকে কেড়ে নিতে পারে কয়েকটি সোনালী বছর। 
 
কারণ  গবেষনায় দেখা গেছে,  দৈনিক শুধু একবার যারা লাল মাংস আহার করেন তাদের হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি ১৬ ভাগ বেশি এবং ক্যান্সারে মৃত্যু ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি। 
 
গবেষণায় আরও বলা হয়, রেডমিট প্রেমীদের সামগ্রিকভাবে অকাল মৃত্যুর হার শতকরা ১২ ভাগ বেশি। আর মৃত্যু ঝুঁকি প্রক্রিয়াজাত রেডমিটে আরও বেশি। 
 
 উইলেট গবেষণায় আরও উল্লেখ করেন, যারা নিয়মিত রেডমিট আহার করেন তাদের মধ্যে ধূমপান, মদ্যপানসহ নানা অভ্যাস গড়ে উঠে। এতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।  ওয়াল্টার উইলেট-এর গবেষণা তথ্যটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পেয়েছে।
শিকাগো সান টাইমস এর প্রতিবেদক ন্যান্সি হেলমিক তার ‘রেডমিট লিংকড টু প্রিম্যাসিউর ডেথ’ শিরনামের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন অপ্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন: হ্যামবার্গ, পর্ক, বিফ, ল্যাম্ব এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস বেকন, হটডগস ইত্যাদি বেশি আহারে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। এসব খাবারের পরিবর্তে মাছ, পোল্ট্রি, বাদাম এবং সিম জাতীয় সবজি খাওয়া ভালো। এছাড়া রেডমিট ভোজীদের ডায়াবেটিস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির কথাও বলা হয়। 
তবে কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছেন আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির বিশেষজ্ঞ মিস মার্জি ম্যাককুলাউ। তিনি মনে করেন লাল মাংস আহার হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে এবং এমন কোনো ম্যাজিক পরামর্শ নেই যে, আপনি নিরাপদে লাল মাংস আহার করতে পারেন। লাল মাংস প্রেমীদের হতাশ না করে তিনি উল্লেখ করেন সপ্তাহে একদিন পরিমাণ মত লাল মাংস খাওয়া যেতে পারে। এতে বড় ধরণের বিপদের কিছু নেই।
 
গবেষণার প্রধান অথার হারভার্ড পাবলিক স্কুলের গবেষক অ্যানপ্যান মনে করেন, মাংসভোজীরা যদি তাদের খাদ্য তালিকায় লাল মাংসের পরিবর্তে মাত্র সপ্তাহে এক বেলা মাছ অন্তর্ভূক্ত করেন তবে অকাল মৃত্যুর হার ৭ ভাগ কমতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে অ্যানপ্যান মনে করেন এতে সোডিয়াম ও নাইট্রেটের কারণে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
 
তবে তিনি এটাও বলেন, লাল মাংস আহারেই যে অকাল মৃত্যু ঘটবে এর যথেষ্ট প্রমাণ ও তথ্যাদি তারা পাননি। তবে ঝুঁকি বাড়ে এটা  ঠিক।