আদা :
চা অথবা গরম জলে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে।
ধনে বীজের চা
ধনে বীজে নানা ধরনের ভিটামিন ছাড়াও আপনি পাবেন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার কাজ হল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। এ ছাড়াও নানা অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্বায়ী তেলের উপস্থিতির কারণে ভাইরাল জ্বর কমাতে ধনে বীজ ভালো কাজ দেয়।
যে ভাবে বানাবেন ধনের চাঃ
এক গেলাস জলে এক চামচ ধনে বীজ মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। এর পর মিশ্রণটিকে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে অল্প দুধ ও চিনি মিশিয়ে ভাইরাল জ্বর আক্রান্ত ব্যক্তিকে চায়ের মতো করে খেতে দিন। দিনে কয়েক বার এই ধনে-চা খেলে ভাইরাল জ্বর কমবে।
ভাইরাস জ্বরে তুলসী পাতা
ভাইরাল জ্বরে তুলসীপাতা অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক দাওয়াই। তার কারণ এই তুলসী পাতায় রয়েছে নানা-অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাল জ্বরে তুলসী পাতার জুরি নেই।
কী ভাবে খাবেন তুলসী পাতাঃ
গোটা কুড়ি তাজা তুলসীপাতা জোগাড় করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক লিটার পানীয় জলে তুলসী পাতাগুলো দিয়ে হাফ চামচ লবঙ্গগুঁড়ো মেশান। এ বার এই মিশ্রণটিকে ফোটাতে হবে। এক লিটার জল কমে হাফ লিটার হয়ে এলে, আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। জ্বর অবস্থায় দু-ঘণ্টা ছাড়া ছাড়া এই মিশ্রণটি এককাপ করে খান। উপকার পাবেন।
তুলসীপাতা :
১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা চামচ করে খেলে জ্বর দ্রুত কমবে।
চালের সুজি :
জ্বরের সময় আরেকটি উপকারী খাবার হলো চালের সুজি, সঙ্গে সামান্য আদাকুচি ও সিদ্ধ করা সবজি।
মেথি চা:
মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালায়। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।
হারবাল চা:
হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করতে পারেন।
শিং-মাগুর মাছের ঝোল :
জ্বর মাঝে দ্রুত সুস্থ হতে ও শক্তি ফিরে পেতে দেশি শিং ও মাগুর মাছের ঝোল একটি আদর্শ খাবার।
গোলমরিচ ও লবঙ্গ :
নরম ভাত, খিচুড়ি অথবা আলু সিদ্ধর সঙ্গে একটু গোলমরিচ ও লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে জ্বরে উপকার হবে।
টমেটো ও গাজরের স্যুপ :
জ্বরের রোগীর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো টমেটো ও গাজরের স্যুপ।