সিলেটের আতিয়া মহলে আটকে থাকা ৩০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা

মার্চ ২৬, ২০১৭
Spread the love
আয়না২৪ ডেস্ক
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীর জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ ৩০ ঘণ্টা আটকে থাকার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তত্পরতায় মুক্ত হয়েছেন বিশ্বজিত কুমার দে। এই সময়ের অভিজ্ঞতা বিবিসি বাংলার কাছে বর্ণনা করেছেন তিনি।
 
ভবনের দুই তলার একটা ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন বিশ্বজিত। তিনি বলেন, শুক্রবার ভোরের দিকে প্রচণ্ড শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। এরপর একবার বাইরে বের হয়ে এলে চারদিকে ধোয়া দেখে ভয়ে আবার ঘরে ফিরে যান। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তারা।
 
তিনি আরো বলেন, এই সময় হ্যান্ড মাইকে পুলিশের কথা শুনতে পান। তার ভাষ্য, আমাদের নীচতলায় থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, এরপর আমরা বাসার দরজা-জানলা বন্ধ করে প্রায় ৩০ ঘণ্টা বসে ছিলাম। ভয়ে আতঙ্কে গেছে প্রতিটা ঘণ্টা। এরপর শনিবার সকালে শুনলাম আর্মি আসছে।
 
ভবনের দুই তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত প্রায় ২৮টি পরিবারকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয় শনিবার সকালে। কিন্তু নীচ তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান থাকায় সহজ পথে সিঁড়ি বেয়ে তাদের বের করা নিরাপদ ছিল না। তাহলে কিভাবে বের হলেন এতগুলো মানুষ?
 
বিশ্বজিত জানান, মই তৈরি করে আতিয়া ভবনের পাশে থাকা আরেকটি ভবনের সাথে যুক্ত করা হয়। তারপর এই মই দিয়ে এক এক করে সবাইকে পাশের ভবনের সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রতিটি তলায় ছয়টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি বলছিলেন, নীচতলায় একটি ফ্ল্যাটে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা রয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
 
তিনি বলেন, সব জিনিস-পত্র বাসায় ফেলে কোনো মতে বেঁচে আসছি। নীচতলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ডিসেম্বরের-জানুয়ারির দিকে বাসাটি ভাড়া নেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে সেখানে কারা থাকেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য তাঁর জানা নেই।

খবর বিবিসির