আয়না ২৪ বরিশাল প্রতিবেদক
বর্তমানের চেয়ে বরিশালে মাছ চাষ দ্বিগুন করা সম্ভব। মৎস্য সেক্টরে উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সাউথ ওয়েস্ট অ্যাকুয়াকালচার অ্যাডভাউজারি নেটওয়ার্কের (সোয়ান) মাধ্যমে। সোয়ানের কার্যক্রম ও মৎস্য চাষীদের উপকারের বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে সোয়ানের সাধারণ সম্পাদক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনকালে জানান, বরিশাল বিভাগে বেশিরভাগ মাছই আসে প্রাকৃতিক আহরণ থেকে। ১০১৫-১৬ সালে বিভাগে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪২ মেট্রিকক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছিল। এরমধ্যে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৬ মে. টন। এবছর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৬১ মেট্রিক টন মাছ। তারপর মাছ চাষে বরিশাল অঞ্চল ময়মনসিংহ ও রাজশাহীর তুলনায় পিছিয়ে।
এখানে পুকুর, নদী নালার সংখ্যা বেশী ও নিত্য জোয়ার ভাটা থাকায় বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন বলতে শতাংশ প্রতি ৪০ কেজি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। এই লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য চাষ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের সমন্বয়ে সাউথ ওয়েস্ট অ্যাকুয়াকালচার অ্যাডভাইজারি নেটওয়ার্ক (সোয়ান) ২০১৪ সালে জুনে গঠন করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্যঅধিদপ্তর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকরী প্রতিষ্ঠান মৎস্য মৎম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন। সোয়ানও চাচ্ছে মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে গবেষণা ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নেয়ার।
এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধক্ষ্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল হক টুটুল, উপদেষ্টা ও ওয়ার্ল্ডফিসরে এআইএন প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সাধারণ সদস্য মো. বেলাল হোসেন। এর আগে একই স্থানে সোয়ানের বরিশাল চ্যাপ্টার কমিটির সভা বরগুনা জেলা মড়স্য কর্মকর্তা ড. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।