বজ্রপাতে বিভিন্ন স্থানে ১২ জনের মৃত্যু

Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানে  আজ মঙ্গলবার বজ্রপাতে দু ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ঝিনাইদহে তিনজন করে, ময়মনসিংহে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর, চুয়াডাঙ্গায় দুইজন করে, কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং গাইবান্ধায় একজন করে মারা যান। 
 ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড  ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে  তিনজন মারা গেছেন। তারা হচ্ছেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার  পোলতাডাঙ্গা গ্রামের ইউনুস আলির ছেলে মিরাজ হোসেন  ( ৫০) ও আমেরচারা গ্রামের  ইমদাদুল হকের ছেলে মো. আমানুল্লাহ ( ৪০ ) ও  কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মো. ফসিয়ার রহমানের স্ত্রী আঞ্জুরা বেগস ( ৪৫ ) ।
 ময়মনসিংহে শহরের জিলাস্কুল ও ধোবাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ তিনজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের জিলাস্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তামিম (১৪) বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এইদিনে জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের রাওতি গ্রামে ২ কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছে।  এরা হচ্ছে রাওতি গ্রামের এংরাজ মিয়া (৪০) ও আরসাদ মিয়া (৪৫)।
 
 ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে দুপুরে বজ্রপাতে খোদেজা বেগম (৩০) নামে এক নারী মারা গেছেন। তিনি উপজেলার শ্রীঘর গ্রামের কবির মিয়ার স্ত্রী।
 
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বজ্রপাতে শাহাব উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছে। শাহাব উদ্দিন উপজেলা ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকারচর গ্রামের মধ্য পাড়া মো. আক্কাছ মিয়ার ছেলে।  জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায়  টাক্টর নিয়ে জমি চাষ করার জন্য শাহাব উদ্দিন মাঠে গেলে বজ্রপাতে আহত হন। বাঞ্ছারামপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
 
, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বজ্রপাতে আনোয়ার হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার হোসেন ওই সময় হলহলিয়া নদীতে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনোয়ার।
 
 গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বজ্রপাতে নব চন্দ্র (২৭) নামে এক রিকশাভ্যান চালকরে মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের পিয়ারগাঁও গ্রামে বাজার থেকে নব চন্দ্র ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি ওই গ্রামের প্রেমা চন্দ্রের ছেলে।
 
 চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা ও কুতুবপুর মাঠে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র আব্দুল মালেক (১০) ও আব্দুস সামাদ (২৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।