আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০

Spread the love
আয়না২৪ সংবাদদাতা

ফরিদপুর সদরপুর উপজেলায় হাটের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নতুুন বাংলা বছর ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য কৃষ্ণপুর হাটের ইজারা পান আখতারুজ্জামানের সমর্থক কুদ্দুস সরদার। গতবার এ হাটটি ইজারা নিয়েছিলেন বিল্লাল হোসেন নিজেই। এ বছর বিল্লাল হোসেনের ভাই ইনজামুল হক মিঠু হাটের ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পূর্বের বিরোধ ও হাটের ইজারা নিয়ে গত ১০ এপ্রিল থেকে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল ও ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটছিল।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকিরের সঙ্গে এলাকায় অধিতপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমার নিক্সন চৌধুরীর অনুসারী আখতারুজ্জামান তিতাসের লোকজনের বিরোধ চলছিল।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ। তবে পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করেছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা কারও পক্ষ হয়ে কাজ করিনি। দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান করে সংঘর্ষ ঠেকানোর চেষ্টা করেছি।’

সংঘর্ষে নিহত মান্নান সিকদার মানু (৫৫) নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের হাজী কছিমদ্দিন সিকদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ফকিরের সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইউম হিরু চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল। সাবেক চেয়ারম্যানের গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান তিতাস।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইটের আঘাতে পুলিশের আট সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সদরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার জানান, আগে থেকেই পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে উভয়পক্ষের কয়েক হাজার লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।