একটু বয়স বাড়তে না বাড়তেই যখন ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ এবং দেহের বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় বয়সজনিত সমস্যা তখন অনেকেই আফসোস করেন। কিন্তু আফসোস করে কোনো কিছুই ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাই তরুণ বয়স থেকেই সতর্কতার সঙ্গে নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে যৌবন ধরে রাখা যায়। বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। সেই উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।
১) মাছের তেল
মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বয়সের ছাপ রুখে দিতে সক্ষম। এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেন, কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম ঠিক রাখে, চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করে। ভালো কোনো মাছের তেল পরিমিত খাওয়া যায়। নতুবা খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ থাকতে হবে।
২) চিনিকে না বলুন
ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি শরীরের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না।
৩) পরিশ্রম করুন
চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয়। দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়।
৪) তিলের তেল
মে ফ্লাওয়ার ইন অ্যান্ড স্পা এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং মালিক লিসা হেডলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে তিলের তেল পুরো দেহের ত্বকে ম্যাসেজ করলে শুধু ত্বকই হাইড্রেট হয় না এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এরপর ভালো করে গোসল করে নিলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বক থাকে তরুণ অনেকটা সময় ধরে।
৫) গ্রিন টি
চা/কফি কমবেশি সকলেই পান করে থাকেন। কিন্তু দেহে ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে পান করতে হবে গ্রিন টি। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
৬) মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।