আয়না ২৪ লাইফস্টাইল
মানুষ মাত্রই হলো তার অনুভূতি ও আবেগ থাকা স্বাভাবিক। এটা হলো একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। অনুভূতি ও আবেগ কারো সমান থাকে না। অনুভূতি ও আবেগ কারো সমান থাকে আবার। কারওর বেশি থাকে, কারও বা কম। কেউ আবার আবেগপ্রবণ হলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন, যাদের অন্যের দুঃখ দেখেও চোখে জল আসে। এক কথায় এঁরা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু সমাজের বড় অংশটাই এদের দুর্বল বলে মনে করে।
# মনোবিদরা আবার বলছেন অন্য কথা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে মনোবিদরা জানতে পেরেছেন, যারা অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁদেন তাদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে।
# মনের মধ্যে কোনও কষ্ট জমে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকারক। উল্টোদিকে যারা কেঁদে নিজের কষ্ট বের করে ফেলতে পারেন, তাদের পক্ষে সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসাও তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়। জীবনে বড় কোনও ধাক্কা খাওয়ার পরে মুহূর্তের জন্য কাঁদলেও, এরা সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসেত পারেন সহজে।
# আমরা অনেকেই ধারনা করে থাকি যার কাদেন তারা ভিতু হয়ে থাকেন। কিন্তু মনোবিদরা উলটো মনে করেন। তাদের মতে, যারা কাঁদেন, তারা সাহসী হয়ে থাকেন। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে তারা ভয় পান না। আবার অনেকে কান্না চেপে রাখেন নিজেকে দুর্বল হিসেবে লোকের সামনে দেখাতে চান না তাই। কিন্তু যারা সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে মেনে নিয়ি কাঁদতে ভয় বা লজ্জা পান না তারাই হলো প্রকৃত সাহসী।
যারা না কেঁদে, কষ্ট ভিতরে আটকে রাখেন তাদের মাথায় ও জীবনে সেই কষ্ট বেশি প্রভাব ফেলে। উল্টোদিকে যারা বেশি কাঁদেন তারা জীবনে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হন। এঁরা জানেন কেঁদে মনের ভার হালকা করলে জীবনের পথে চলতে তাদের সুবিধাই হবে। কান্না মানুষ কে তার কষ্ট গুলকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।