আয়না২৪ প্রতিবেদন
জামালপুর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
সবমিলিয়ে জেলার ৭টি উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়ায় ইতিমধ্যে জেলার ২২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে যমুনা নদীর পানি ০৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ জামালপুর জেলার সবগুলো শাখা নদীর পানি বেড়েই চলেছে।
প্রতিদিন পানি বাড়ার সাথে সাথে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। বন্যা দুর্গত এলাকার বেশিরভাগ মানুষের ঘরে খাবার নেই বললেই চলে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ মে. টন চাল, ৩ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগন্য বলে অভিযোগ দুর্গতদের।