ঘুরে আসুন অপরূপ সোনারচর

ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭
Spread the love

 

আয়না২৪ প্রতিবেদক

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সোনারচর। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে এর অবস্থান।  এখানে রয়েছে বিস্তৃত বনভূমির পাশাপশি সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, আছে লাল কাঁকড়া। সাগরে যখন জোয়ারের পানি উথলে ওঠে তখন অনন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয় সোনারচরে। তটরেখায় আছড়ে পড়ে ছোট-বড় ঢেউ। কুয়াকাটার ন্যায় সোনার চরের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়েও সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এছাড়া সোনার চরে আছে হরিণ, বানর, শুকরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। সেইসাথে বিশ হাজার ছাব্বিশ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৪ সালে বঙ্গোপসাগর তীর ঘেষে জেগে ওঠে সোনার চর। পরে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ বনায়ন করে এ চরে। বনে ছাড়া হয় তিনশ’টি হরিণসহ বানর, বন্য মহিষ, শুকর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। রয়েছে নানা প্রজাতির পাখ-পাখিও।  ২০১১সালের ১৬ ডিসেম্বর সংরক্ষিণ এ বনভূমি বন্যপ্রাণীদের জন্য অভয়রণ্য ঘোষণা করে সরকার। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এ চরে এখন প্রতিদিন শত শত ভ্রমণ পিপাশুরা আসেন বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।সোনারচরে  একটা বিশাল খাল আছে। পুরোটাই সুন্দরবনের  মত শুধু রয়েল বেঙ্গল মামাটাই নেই।

কীভাবে যাবেনঃ

সদরঘাট থেকে রাঙাবালির লঞ্চে উঠে চরকাজল এ নামার পর ওখান থেকে ছোট লঞ্চে চর মন্তাজ যেয়ে ট্রলার ঠিক করে সোনারচর যেতে হবে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা লঞ্চঘাট থেকে স্পিড বোটে সোনার চরে যেতে সময় লাগে মাত্র দেড় ঘণ্টা।

আবার কুয়াকাটা থেকেও সোনারচরে যাওয়া যেতে পারে। যেতে হবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে সময় লাগবে ঘণ্টা তিনেক।

কোথায় থাকবেনঃ

সোনারচরে রাত কাটানোর মতো নিরাপদ আরামদায়ক কোন ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ছোট্ট তিন কক্ষের একটি বাংলো। ইচ্ছে করলে রাতে সেখানে থাকতে পারেন। এছাড়া রয়েছে বন বিভাগের ক্যাম্প। সেখানে কিছুটা কষ্ট হলেও রয়েছে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা।

চাইলে সূর্যাস্ত দেখার পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলারে ৩০ মিনিটে চলে যেতে পারেন চরমোন্তাজে। সেখানে রয়েছে বন বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা স্যাপ বাংলাদেশ ও মহিলা উন্নয়ন সমিতির ব্যবস্থাপনায় রাত যাপনের মতো মোটামুটি সুবিধাসম্পন্ন বাংলো। রয়েছে হোটেল। চরমোন্তাজে রাত কাটিয়ে সোনারচরের পাশেই মৌডুবী, জাহাজমারা, তুফানিয়া ও শিপচরসহ আরো কয়েকটি দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

খরচঃ

চর মন্তাজ থেকে সোনারচর যেতে ট্রলার ভাড়া পড়বে  এক হাজার ৫০০ টাকা। শীতে গেলে আরো কম লাগবে।