আয়না২৪ ডেস্ক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিমান ও রহস্যময় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নানা কারণে আবির্ভূত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁর। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই যার বড় প্রমাণ। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বনাম হিলারি যত না ্আলোচনা হয়েছে, তার চেয়ে পুতিন বনাম ডেমোক্র্যাটস রবই বেশি করে কানে এসেছে।
নিন্দুকদের দাবি, সিআইএর ঘেরাটোপ পেরিয়ে তিনি নাকি নির্বাচনে কলকাঠি নেড়েছেন। এনিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। দুই মেয়েকে লোকচক্ষুর নজরে রেখেছেন, এমনকি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ল্যুদমিলা পাভলিচেনকোকে কোনও আশ্রমে রেখে এসেছেন বলে গত কয়েক বছর ধরে গুজব ছিল। তবে এ সব একেবারেই মিথ্যে গালগপ্প। প্রাক্তন স্ত্রীর ওপর কোনওরকম জোরই নাকি খাটাতে পারেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে, নিজের থেকে বয়সে দুদশক ছোট ফরাসি নাগরিক আর্থার ওসেরেতনির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ৫৯ বছরের ল্যুদমিলা।
সম্প্রতি এই খবর সামনে এসেছে। গত বছরই বিয়ে হয়েছে তাঁদের। আর্থার একটি অলাভজনক সংস্থার মালিক তিনি। দু’জনে মিলে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে একটি বিলাসবহুল বাড়িও কিনেছেন। যা নাকি পুটিন ও ল্যুদমিলার বড় মেয়ে ক্যাটরিনা তিকোনোভার বাড়ির খুব কাছে। ১৯৮৩ সালে ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে পূর্ব জার্মানিতে বিয়ে হয় ল্যুদমিলার। প্রায় তিন দশক এক সঙ্গে থাকার পর ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন দুজনে। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময়ই চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে আসছে ক্রেমলিন। বিচ্ছেদের পরে ল্যুদমিলা কোথায় ছিলেন তা কাউকে জানানো হয়নি।