ঘূর্ণিঝড় ‘ভরদা’ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
Spread the love

আয়না২৪ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সাইক্লোন ভরদায়   বিধ্বস্ত  ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে   ১০ -এ পৌছেছে। নিম্ন উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে ২০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। তামিলনাড়ুর স্কুল, কলেজ মঙ্গলবারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভাম। যথারীতি খোলা থাকছে আম্মা ক্যান্টিন, যেখানে ৫ টাকায় পেট ভরে খেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। টুইট করে সাইক্লোন বিধ্বস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী।

আবহাওয়া বিভাগ আগামী দুদিন  মৎস্যজীবীদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ জারি করেছে। । ঝড়ের দাপটে চেন্নাইতে উপড়ে গেছে ৪০০০ গাছ, বিদ্যুতের খুটি। রোববার থেকে তাই অন্ধকারে ডুবেছিল চেন্নাই। গতকাল   বিদ্যুৎ এসেছে শহরে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচলও। রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত। চেন্নাইতে সোমবার থেকে বাড়ি বসেই কাজ করছেন তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা। 
ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কমলেও বৃষ্টি এখনই থামছে না। আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র উপকূলে। সাইক্লোন ভরদা এখন অনেকটাই দুর্বল।

আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এদিন কর্ণাটকে পৌঁছচ্ছে ভরদা। বুধবার দক্ষিণ গোয়ায় আছড়ে পড়বে। তুমুল বৃষ্টি হলেও ঝড়ের গতিবেগ কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হবে না। তবে ভরদার প্রভাবে কেরল এবং কর্ণাটকে এই দুদিন বৃষ্টি হবে। সোমবার ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে তামিলনাড়ু, অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন ওয়ার্দায়। অন্ধ্রর নেল্লোর, চিত্তুর জেলায় ধসে পড়েছে বেশ কিছু বাড়ি। আন্না বিশ্ববিদ্যালয় আর আই আই টি মাদ্রাজে প্রায় কয়েকশো গাছ উপড়ে পড়েছে। রাস্তায় গাছ পড়েও বেহাল দশা। মঙ্গলবার সকাল থেকে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর কাজে নেমেছে চেন্নাইয়ের পুরকর্মীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগেভাগেই তৈরি ছিল দুই রাজ্য। মোতায়েন হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিল বাহিনীর ১৯টি দল। চেন্নাইয়ে টহল দেয় ১৫০টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। নিষেধ সত্ত্বেও সোমবার সমুদ্রে যায় মৎস্যজীবীদের একটি দল। তাঁদের এদিন শ্রীহরিকোটা থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খবরাখবর নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ‌

ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে আজ সোমবার দুপুরে ভারতের চেন্নাইয়ে আঘাত হেনেছে  ঘূর্ণিঝড় ‘ভরদা’। ঝড়ের  প্রভাবে  রোববার বিকেল থেকেই তামিলনাড়ু উপকূল  এবং চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে  ঝোড়ো হাওয়া। এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ঘূর্ণিঝড় যত তামিলনাড়ুর দিকে এগিয়েছে  বাতাসের গতিবেগও ততটা বেড়েছে। চেন্নাইয়ের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতেও। ঝড়ের গতিবিধি ও শক্তির দিকে খেয়াল রেখে রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলে নৌবাহিনীর  দুটি জাহাজ  মোতায়েন করা হয়। ব্যবস্থা করা হয় চিকিৎসক, ওষুধ, কম্বল, খাবারের।