সালমান আবেদির পুরো পরিবারই জঙ্গি

Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

ম্যানচেস্টার হামলাকারী সালমান আবেদির  পুরো পরিবারই জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গে জড়িত। এমন অভিযোগে তার বাবা রমাদান আবেদি ও ছোটভাই হাশেম আবেদিকে আটক করেছে লিবিয় পুলিশ।   সালমান আবেদির ছোট  ভাই  হাশেম আবেদি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে সালমানের হামলার কথা পুরোপুৃরি জানতো এবং  সেও ( হাশেম আবেদি)  আরেকটি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে  ‘ডেইলি মিরর’

প্রকাশিত খবরে  বলা হয়, হাশেম আবেদির বয়স ২০ বছর।  মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে। লিবিয়ার নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছে, সে আইএস-এর সদস্য। তার ভাই সালমানের হামলার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতো সে। হামলা চালানোর আগে হাশেমের  ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায় সালমান। এর পরিমাণ চার হাজার  ৫০০ লিবিয় দিনার বা আড়াই হাজার পাউন্ড। সেই অর্থ উত্তোলন করতে যায় হাশেম আবেদি। এ সময়ই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় সালমান আবেদির বাবা রমাদান আবেদিকে (৫০)। গ্রেপ্তার করার পর পরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এ সময় হাশেম স্বীকার করে তার ভাইয়ের হামলা পরিকল্পনা সম্পর্কে সে জানতো। ভাইয়ের সঙ্গে সব সময়ই তার যোগাযোগ ছিল। এ ছাড়া নিজেও নিজের মতো করে একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল সে।

বিন সালেম নামের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হাশেম আবেদি ও তার ভাই ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সদস্য এ বিষয়ে আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। হাশেম আবেদিকে আমরা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে খুঁজছিলাম।

প্রসঙ্গত, হামলার পরদিনই ম্যানচেস্টার থেকে বৃটিশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সালমান আবেদির বড় ভাই ইসমাইল আবেদিকে (২৩)। লিবিয়ার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তাদের বাবা রমাদান আবেদি। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয় মুখোশধারী কিছু মানুষ। তারা তাকে তুলে নিয়ে যায়।

তার আগে রমাদান আবেদি বলেন, সালমান আবেদি (২২) ম্যানচেস্টারে হামলা চালালেও সব সময়ই সে এমন সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ছিল। তিনি ব্লুমবার্গ’কে বলেন, ওই হামলার খবর দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। এটা যে ঘটেছে তা আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। এর আগে আমরা একই রকম সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে যখনই কথা বলেছি তখনই সালমান ওইসব হামলার বিরোধিতা করেছে। সে বলেছে, এমন হামলার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য কোন ধর্মীয় অনুমোদন নেই।

রমাদান আবেদি আরো বলেন, সে কেন এমন একটি হামলায় জড়িত হলো তা আমি বুঝতে পারছি না। সব বাবাই তার সন্তানকে চেনেন এবং মনে করেন তার মধ্যে কোন সন্ত্রাসী চিন্তাভাবনা নেই।

 ১৯৯০ এর দশকে নিজের দেশ ছেড়ে বৃটেনে পাড়ি জমান রমাদান আবেদি। সেখানেই জন্ম হয় তার ছেলেদের।   এক পর্যায়ে তিনি চলে যান নিজের দেশ লিবিয়িায়। বৃটেনে থাকা অবস্থায় সালমান আবেদি একবার নাকি তার মাকে বলেছিল, সে পবিত্র রমজানের সময় মক্কা শরীফে যাবে।

 আবেদি পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন  হামিদ আল সাঈদ। তিনি সন্ত্রাস ও উগ্রাপন্থার বিষয়ে জাতিসংঘকে পরামর্শ দেন। তিনি হামিদ আল সাঈদকে বলেছেন, সালমান আবেদি সব সময় পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতো না। তাকে তার পিতামাতা অনেকবার লিবিয়া নিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু  তাঁরা তাতে ব্যর্থ হন।