আয়না২৪ ডেস্ক
সিরিয়া, আফগানিস্তানে যতই দাপট দেখাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা, তাদের চাপে রাখতে কোনও কোনো কার্পণ্য করছেন না উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। শনিবার কিম সাফ বলে দিয়েছেন, প্রয়োজনে “পাল্টা পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত” পিয়ং ইয়ং। আমেরিকা যেন তাদের দিক থেকে কোনও উস্কানিমূলক আচরণ না করে।
একই সুরে উত্তর কোরিয়া সেনার কর্মকর্তা চো রেয়ং হাই বলেছেন, ‘যে কোনও পরমাণু হামলার জবাব দিতে আমরা নিজস্ব কায়দায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম।
শনিবার নিজেদের সামরিক শক্তি জনসমক্ষে তুলে ধরতে রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে এক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রদর্শনীতে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ডুবোজাহাজ এবং ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ–যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মতো নানা অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রদশর্নী হয়। জল্পনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে অনেকেই মনে করছেন, শনিবার রাত থেকেই যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনকালে এই মন্তব্য করেছে দেশটি। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কয়ারে ‘সূর্যের দিন’ উদ্যাপনকালে উত্তর কোরিয়ার সামরিক কুচকাওয়াজে ছিল নানা আয়োজন। কালো স্যুটে সজ্জিত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কুচকাওয়াজ দেখেন। তাঁকে এ সময় বেশ নিরুদ্বেগ দেখা যায়। কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাসাহাসিও করতে দেখা যায়।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেকোনো সময় সংঘাত বাধতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, যুদ্ধ বাধলে কেউ জিতবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উদ্বেগ এবং কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন রণতরি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন ওয়াং।
উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যান সং রিওল বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়া নীতিতে বেশি বিদ্বেষী ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান সতর্কতা জারি করে বলেছে, যেকোনো সময় পরমাণু যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে। যদি চীন সহায়তা করতে চায়, তাহলে খুব ভালো হবে। যদি না করে, তাহলে চীনের সাহায্য ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার সমস্যা আমরা সমাধান করব।’ তবে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী এই হুঁমকিকে উপেক্ষা করে গতকাল সাফ সাফ বলে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানি ভন্ডুল হয়ে যাবে।