আয়না২৪ ডেস্ক
রাজ পরিবারের সন্তান হলেও একটা দুর্ঘটনায় দুই বালকের জীবন পাল্টে দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট, তখন সবে মধ্যরাত। ডায়ানার মৃত্যু সংবাদে কেঁপে উঠেছিল বাকিংহ্যাম প্যালেস। ডা্য়ানার সেই বেদনাতুর মৃত্যু নিয়ে এ বছর তার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৪ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। নাম ‘ডায়ানা, আওয়ার মাদার: হার লাইফ অ্যান্ড লিগ্যাসি।’
যুবরাজ উইলিয়াম ও হ্যারির দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি হয়েছে। তাতে মাকে নিয়ে না বলা অনেক কথা তুলে ধরেছেন দুই রাজকুমার। জানিয়েছেন, কুড়ি বছর আগের ওই অভিশপ্ত রাতে, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁদের। খুবই অল্পক্ষণের জন্য। কিন্তু যদি আরও কিছুক্ষণ কথা হত? মায়ের প্রতি সমস্ত অনুভূতি যদি প্রকাশ করতে পারতেন? আজও নাকি এই প্রশ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় তাঁদের।
তাই আক্ষেপ করেছেন ছোট রাজকুমার হ্যারি। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ওই রাতে প্যারিস থেকে ফোন করেছিলেন মা। সেই সময় ঠিক কী বলেছিলাম, তা আর এখন স্পষ্ট মনে নেই। কিন্তু একটা প্রশ্ন আমাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়। কথোপকথনটা যদি অত সংক্ষিপ্ত না হতো? আরও কিছুক্ষণ যদি কথা বলতাম? সারা জীবন আক্ষেপ থেকে যাবে জানি।’
দুর্ঘটনার সময় বড় রাজকুমার উইলিয়ামের বয়স ছিল ১৫। আর হ্যারি ১২ বছরের বালক। স্কটিশ হাইল্যান্ডে রাণীর বাসভবন বালমোরালে ছুটি কাটাচ্ছিল তাঁরা। দুই ভাইয়ে মিলে খেলায় ব্যস্ত ছিল। তাই নাকি ফোন রাখতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। উইলিয়াম নিজে সেকথা জানিয়েছেন।
আক্ষেপের সুরে বলেছেন, ‘ফোন রাখার জন্য মাকে তাড়া দিচ্ছিলাম আমরা। পরে কথা বলব বলে ফোনটা রেখে দিই। কী হতে চলেছে তখন যদি ঘুণাক্ষরেও টের পেতাম! তাহলে হয়ত এতটা হেলাফেলা করতাম না। মায়ের সঙ্গে শেষ কথোপকথন আজও আমার মনের গভীরে গেঁথে রয়েছে।’
১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রাতে, সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে পালানোর সময় প্যারিসের সুড়ঙ্গ পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ডায়ানার গাড়ি। প্রেমিক দোদি আল–ফায়েদের সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবরাণীর। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ফরাসি নাগরিক হেনরি পল। দুর্ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়। ডায়ানার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কেনসিঙ্গটন প্যালেসে তাঁর একটি মূর্তি স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছেন উইলিয়াম ও হ্যারি। টাকা তোলার জন্য একটি তহবিল গড়েছেন তাঁরা।