আয়না২৪ ডেস্ক
পুরো নাম হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো। আত্মবিশ্বাসের কারণে গণমাধ্যমের আলোচনায় এসেছেন কঙ্গোর এই তরুণী। এমবঙ্গোর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি এ্ইডস। এই অবস্থায় সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় অংশ তিনি মিস কঙ্গো ইউকে হয়েছেন। এমন অবস্থায় কারো সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তো অনেক দুরের কথা, হতাশায় আত্মবিশ্বাসই তলানিতে চলে যাওয়ার কথা। এমন অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন । কিন্তু সবাই যে এক রকম হন তা কিন্তু না। সেটাই প্রমাণ করলেন হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো- এ বছরে মিস কঙ্গো ইউকে প্রতিযোগিতায় জিতে।
সারা বিশ্বের এখন ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়ে নানা গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ২০২০ সালে মধ্যে প্রতি ঘরে একজন করে ক্যানসার রোগী থাকবেন। অন্যদিকে আফ্রিকার মতো অনুন্নত মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে এইডস। সেই আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশ কঙ্গো। সে দেশেরই মেয়ে হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো।
তাঁর বয়স যখন মাত্র ১২, তখন জানা যায়, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি এইডস। তবু আর পাঁচজনের মতো জীবনযুদ্ধে হার মানেন নি তিনি। বরং দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছেন। এখন লন্ডনে থেকে পড়াশোনা করছেন হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো। প্রতি বছর লন্ডনের থাকা কঙ্গোর বাসিন্দারা একটি সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। চলতি বছরে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মিস কঙ্গো ইউকে খেতাব জিতে নিয়েছেন হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো।
হোরসেলে সিন্দা ওয়া এমবঙ্গো বলেছেন, লন্ডনে পড়াশোনা শেষে নিজের দেশ কঙ্গোতে ফিরতে চান তিনি। দেশে গিয়ে এইডস সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন তিনি। তাঁর আশা, তাঁর জীবনের এই সাফল্য আগামী দিনে এরকম ভাগ্যবরণকারী অনেককেই নতুনভাবে বাঁচা ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেবে।