আয়না২৪ অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর প্রবল গোলাগুলিতে নিজেদের সাত সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার রাতে সীমান্তরেখা বরাবর ভারতীয় বাহিনী ভারী গোলাবর্ষণ করায় এ নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতের তরফ থেকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালেকে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার পর থেকেই সীমান্তে সংঘর্ষ বেড়ে গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার ও পার থেকে প্রায় রোজ পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় গোলাগুলি চালাচ্ছে বলে ভারত অভিযোগ করেছে। ভারতীয় বাহিনী তার পাল্টা জবাব দেওয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রবিবার রাতে ভারতের তরফ থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ করা হয়েছে বলে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ভারতীয় বাহিনী ভারী কামান এবং ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
২০০৩ সালে ভারত ও পাকিস্তান এক চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারণ করে। সে সময় অস্ত্রবিরতি চুক্তিও সম্পাদিত হয়। তবে এরপর অনেকবার এই চুক্তির লঙ্ঘিত হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পুরো কাশ্মীর নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানে স্বাধীন হওয়ার পর দুটি দেশ এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধে জড়ায়। এর মধ্যে দুটিই হয় কাশ্মীর নিয়ে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত জুলাইয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে উরির সেনাছাউনিতে ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
গত অক্টোবরের ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান সীমান্তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করে। সে অভিযানেও ০৭ জন পাকিস্তানি সৈনিকের নিহতের খবর প্রকাশিত হলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে।