আয়না ২৪ ডেস্ক
জার্মানির বার্লিনের কেন্দ্রস্থলের এক ব্যস্ততম ক্রিসমাস মার্কেটে একটি লরি ঢুকে পড়ার ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৮ জন।
বার্লিনের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডা ম্যাজিয়ার বলেছেন, বিভিন্ন আলামত ঘটনাটিকে একটি ইচ্ছাকৃত হামলা বলেই ইঙ্গিত করছে।
সন্দেহভাজন লরিচালককে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লরিচালকের নাগরিকত্বের পরিচয় এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জার্মানির নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, লরিচালক আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থী হতে পারেন। গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে আসেন তিনি।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় লরির এক আরোহী আহত হয়ে মারা গেছেন। তিনি পোল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন।
জার্মানির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, লরিটি পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ডে নিবন্ধিত।
লরির পোলিশ মালিকের ভাষ্য, গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল চারটা থেকে চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। চালক নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, জার্মানির কোনো একটি নির্মাণস্থান থেকে লরিটি চুরি করা হতে পারে। এরপর সেটি বার্লিনের ওই ক্রিসমাস মার্কেটে ঢুকে পড়ে।
গণমাধ্যমের খবর ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বিবরণ অনুযায়ী, বড়দিন উপলক্ষে বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে বসা মার্কেটটিতে রাতের ব্যস্ততম সময়ে ঢুকে পড়ে লরিটি। ইস্পাতবোঝাই লরিটি ৫০ থেকে ৮০ মিটার ভেতরে ঢুকে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
জার্মানির রাজনীতিবিদেরা এখনই এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলতে নারাজ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি ঠিক “হামলা” শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। তবে আলামত তেমনটাই ইঙ্গিত করছে।’
হতাহতের এই ঘটনায় জার্মানিতে শোক বিরাজ করছে। শোক প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আপাতত মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার জন্য ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের’ দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।