আয়না ২৪ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোতে চীনের পদচারণা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিতে টিলারসনের এ প্রস্তাবে বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নতুন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা এবং সেগুলোর সামরিকায়ণ করাকে ‘ইউক্রেইন থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে রাশিয়ার তা নিজেদের করে নেওয়ার’ মতোই ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন টিলারসন।
ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স তাইওয়ান, মালয়েশিয়াসহ প্রতিবেশী অনেক দেশই দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে আসলেও চীন ওই সাগরের প্রায় পুরোটারই মালিকানা দাবি করে আসছে। তাছাড়া, বিতর্কিত ওই জলসীমায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করাসহ কয়েকটি দ্বীপে সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছে। গতবছর প্রকাশিত ছবিতে এমনটিই দেখা গেছে।
চীনের বিরুদ্ধে আরও বেশি কড়া পদক্ষেপ চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে টিলারসন বলেন, “আমাদেরকে চীনকে পরিষ্কার সংকেত পাঠাতে হবে যে, প্রথমত, তারা কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি বন্ধ করবে এবং তারপর ওই দ্বীপগুলোতে তাদেরকে আর যেতেও দেওয়া হবে না।”
তবে সামরিক অস্ত্রে সজ্জিত ওই দ্বীপগুলোতে চীনের প্রবেশ কিভাবে ঠেকানো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি টিলারসন।
তবে তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ড এবং জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব চীন সাগর নিজেদের বলে দাবি করার পাশাপাশি সেখানে চীনের বিশেষ বিমান উড্ডয়ন এলাকা ঘোষণার পদক্ষেপ ‘অবৈধ’।
দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু জলসীমা, দ্বীপ, চর এবং প্রবাল দ্বীপ চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এককভাবে দখল করেছে। তবে চীনের ভাষ্য, তারা ভুল কিছু করছে না। দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌম অঞ্চলে স্বাভাবিক কর্মকান্ড চালানোর অধিকার তাদের আছে।
টিলারসন বলেন, তিনি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ড ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলেই মনে করেন। ওই অঞ্চলে চীনের পদচারণা বন্ধ করা না গেলে তারা ‘গোটা বিশ্বের অর্থনীতির’ জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।