আয়না২৪ ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশে তাঁর শত্রুর অভাব নেই, আবার ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরাগ দেখাতে গিয়ে সংসারই ভেঙে গেল এক মার্কিন তরুণীর। ট্রাম্পের রিসর্টে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন। তুলেছিলেন সেলফি।
ওই ছবি দেখেই খেপে গেলেন দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া ওই তরুণীর স্বামী। এরপর দাম্পত্য জীবনের ইতি পড়ে গেল লিন আরনবার্গের। একটা সেলফিতে লিনের জীবনের ছন্দ হারিয়ে গেল।
সেলফি এখন ম্যানিয়ার পর্যায়ে। সেলফির নেশায় প্রাণও যাচ্ছে অনেকের। এবার সেলফির জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ হল।
ফ্লোরিডার লিন আরনবার্গ বহু দিন ধরে ঘোষিত রিপাবলিকান সমর্থক। ট্রাম্পের অন্ধ ভক্ত। কিন্তু তাঁর স্বামী ডেভ ডেমোক্র্যাট। এটুকু পরিচয় যথেষ্ট নয়। ফ্লোরিডা সিনেটের তিনি সদস্য ছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসে যাওয়ার ব্যাপারেও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন ডেভ। এমন এক পরিবারের সদস্য হয়েও ট্রাম্প প্রীতি ছাড়তে পারেননি লিন।
ফ্লোরিডার ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব রিসর্ট মার-আ-লাগোয় তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে সেখানে সময় কাটান। সারেন ডিনার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডির সঙ্গে সেলফিও তোলেন। আর এই ছবিই কাল হয় তাঁর।
সেলফির জন্য স্বামী ডেভের সঙ্গে তাঁর চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়। দুজনেই বুঝে যান এভাবে দাম্পত্য টেকানো মুশকিল। শেষমেশ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন লিন আরনবার্গ।
সংসার ভাঙলেও লিন জানান, ডেভ তাঁর ভাল বন্ধু হিসেবেই থাকবেন। এখন তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটি পোতে সেলফি। তবে এর প্রেক্ষাপট ছিল অনেক আগে থেকে।
৩৭ বছরের লিন জানান, ডেভের সমর্থকরা তাঁর ট্রাম্প প্রীতি নিয়ে নানা কথা শোনাতেন। কেউ কেউ তাঁর স্বামীকে বলেছিলেন স্ত্রীকে এবার ঠিক রাস্তায় আনুন।
লিনের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা এবং স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে ছবি পোস্ট করার জন্য বাঁকা মন্তব্য করেন। নিয়মিত হেনস্তায় লিনের সহ্যের সীমা ছাড়ায়।
স্পষ্টভাষী লিন জানিয়েছেন, তাঁর নিজস্ব মতামত রয়েছে। তিনি আজীবন রিপাবলিকান। এই পরিচয়েই থাকতে চান।
লিনের এই চাওয়াতে এখন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও সামাজিক পরিচয় হোঁচট খেল।