আয়না ২৪ ডেস্ক
মুসলিম প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের একটি আদালত; যা কার্যকর হবে সারা দেশের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ চ্যালেঞ্জ করে অবস্থান নেয়ার সুযোগ নেই- সরকারি আইনজীবীদের এমন দাবির বিরুদ্ধেও রুল জারি করেছেন ফেডারেল জাজ জেমস রবার্ট।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সাক্ষরের পর বেশ বড় বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া মার্কিন বিমানবন্দরগুলোতে আটকে পড়েছেন অনেকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
সিরীয় শরণার্থীদের উপরও অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইরাক, সিরিয়া, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন থেকে আসা যে কারো উপর রয়েছে ৯০ দিনের জন্য ভিসা বাতিলের আদেশ।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রথমে মামলাটি করা হয় ওয়াশিংটনে, পরে মিনেনসোটাও যুক্ত হয়।
ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, এটা ধর্মের উপর ভিত্তি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ করছে।
আদালতের এ আদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এর অর্থ দাঁড়াল যে, ওই সাতটি দেশের নাগরিকরা আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অবশ্য এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করছেন, তার ওই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতেই দেয়া হয়েছে।
এটি মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা নয় দাবি করে ট্রাম্প বলেন, নিরাপদ নীতিগুলো একবার প্রতিষ্ঠা করা গেলেই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
তবে কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা বলছেন, এ আদেশ অসাংবিধানিক। কয়েকটি ফেডারেল আদালত ভিসাধারীদের পক্ষে রায় দিলেও সিয়াটলের আদেশটিই প্রথম যা সারাদেশে কার্যকর হবে।
ভার্জিনিয়া, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস এবং মিশিগানের আদালতেও ট্রাম্পেও আদেশ চ্যালেঞ্জ করে শুনানি চলছে।