আয়না২৪ ডেস্ক
রাশিয়ার হাতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংক্রান্ত যৌনপ্রকৃতির (সেক্স নেচার) রেকর্ডিং টেপের সংখ্যা একেরও বেশি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
এর আগে একজন সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দার তৈরি করা ডসিয়ারে (কোনো ঘটনা সংক্রান্ত নথি) রুশ গোয়েন্দাদের কাছে ট্রাম্পের একটি সেক্সটেপ থাকার কথা বলা হয়েছিল।
ফাঁদে ফেলে রেকর্ড করা ওই টেপ দিয়ে ট্রাম্পকে প্রভাবিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ডসিয়ারে।
এই ডসিয়ার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় চলার মধ্যেই রাশিয়ার কাট্রাম্পের আরও সেক্সটেপ থাকার খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দি ইন্ডিপেনডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডসিয়ারের অভিযোগের কথা ট্রাম্প এবং রাশিয়া নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির প্রতিবেদক পল উড বলেছেন, সিআইএ থেকে পাওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে ডসিয়ারের অভিযোগের বিষয়ে তারা আরও একটি সূত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যাতে তাদের কাছে এ অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে।
পল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ট্রাম্পের একের বেশি টেপ রয়েছে। তবে এটি ভিডিও নয়, বরং অডিও টেপ। মস্কোর পরিবর্তে সেন্ট পিটার্সবুর্গের একটি ডেটিংকালে এই টেপটি রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে রাশিয়ার একটি হোটেলে ট্রাম্প যৌন প্রকৃতির কর্মকাণ্ড করার সময় তা ভিডিও করে রাখা হয়েছিল বলে ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা নথিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ট্রাম্প ‘ভুয়া খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে গত সপ্তাহে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে একটি দুই পাতার প্রতিবেদন তুলে দেয় দুজন গোয়েন্দা।
ওই প্রতিবেদনে ট্রাম্পের রাশিয়া সফরকালীন একটি ডসিয়ারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার স্টিলের ৩৫ পৃষ্ঠার এক নথিতে বলা হয়, ট্রম্পের সঙ্গে রুশ নাগরিকদের মধ্যকার এমন সম্পর্ক রয়েছে যার কারণে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার সঙ্গে নতজানু ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বুধবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ডসিয়ারকে কেন্দ্র করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি এটি লজ্জাজনক যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমনসব (সেক্সটেপ সংক্রান্ত) তথ্য গ্রহণ করেছে যা মিথ্যা ও ধাপ্পাবাজি হতে পারে। আমি একে লজ্জাজনক মনে করি, আমি বলছি যে এটি এমন কাজ যা নাৎসি জার্মানি করত ও করেছিল।
তার দাবি, গোয়েন্দা সংস্থা তার প্রেসিডেন্ট পদ ধ্বংস করতেই কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেদন ফাঁস করে দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই প্রতিবেদন ফাঁস করার জন্য দায়ী। এটা তাদের জন্য বড় ধরনের কলংক হয়ে থাকবে।