আয়না২৪ ডেস্ক
জোয়ানা পালানি নামে ২৩ বছরের এই মেয়েটি ছিলেন ডেনমার্কের কলেজ ছাত্রী। সেখান থেকে এখন সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন জোয়ানা । আর এতে চটে গেছে জঙ্গি গোষ্ঠি আইএস।এজন্য কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লাখ ডলার। ডেনমার্কের এই মেয়েকে যে মারতে পারবে তাকেই এই অর্থ দেবে আইএস।
কিন্তু কেন আইসিস-এর বিষ নজরে পড়লেন জোয়ানা? কারণ ডেনমার্কের নাগরিক হলেও সিরিয়াতে এসে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে লড়াইতে নেমে পড়েন জোয়ানা। বছর দেড়েক আগেই পড়াশোনা ছেড়ে সিরিয়াতে চলে আসেন তিনি। তার পরেই কুর্দ বাহিনীর হয়ে আিএস বিরোধী লড়াইতে শামিল হন তিনি।
সম্প্রতি ডেনমার্কে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সিরিয়াতে পৌঁছনোর পরে প্রথমে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নামা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের চোখের সামনে আইএস-এর হামলা দেখার পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নামার সিদ্ধান্ত নেন জোয়ানা।
জোয়ানার দাবি, যেহেতু কুর্দ বাহিনী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করছে, তাই তিনি কুর্দ বাহিনীর হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর পরে তাঁর হাতে একাধিক আইএস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
সিরিয়াতে লড়াইয়ের পরে অবশ্য নিজের দেশ ডেনমার্কে ফিরে গিয়েছেন জোয়ানা। কিন্তু দেশে ফিরেই তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। কারণ ডেনমার্কের আইন অনুযায়ী, সেদেশের নাগরিকরা অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে পারেন না। সেই কারণেই আপাতত ডেনমার্কের জেলে বন্দি রয়েছেন জোয়ানা।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের বরাত দিয়ে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে জোয়ানা ডেনমার্কে আছেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়া ও ইরাক অঞ্চলে গিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
জোয়ানার পরিবারের আদি বাড়ি ইরানের কুর্দিস্তানে। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকের রামাদির এক শরণার্থীশিবিরে তাঁর জন্ম। পরে তাঁর পরিবার ডেনমার্কে আশ্রয় চেয়ে আশ্রয় পান। ২০১৪ সালে কুর্দি বাহিনীর পক্ষে লড়তে যাওয়ার আগে তিনি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করতেন। সেটি বাদ দিয়ে তিনি আইএসের বিপক্ষে লড়তে ডেনমার্ক ছাড়েন।