আয়না২৪ ডেস্ক
সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলেই গেলেন তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’ খ্যাত জে জয়ললিতা। শেষ হয়ে গেল এক বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্রের যাত্রা । সোমবার রাত ১১:৩০ মিনিটে চেন্নাইয়ের অ্যাপেলো হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন এই নেত্রী। ২২ সেপ্টেম্বর অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, দ্রুত সুস্থ হচ্ছিলেন জয়লিলতা। খুব শিগগিরই হাসপাতাল থেকে বাড়িও ফিরবেন বলেছিল এআইএডিএম-কে-র শীর্ষ নেতারা।
চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে সোমবার সকালে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর ভালো আছেন বলে তাঁর দল এআইএডিএমকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তিনি লাইফ সাপোর্টে অাছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।
ললিতার ফুসফুস সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন মাস ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই অবস্থায় গতকাল রোববার তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন।
বিশেষজ্ঞদের একটি দল জয়ললিতাকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ও সার্বক্ষণিক নজরে রাখছিলেন। জয়ললিতাকে ইকোএমওতে (এক্সট্রা-করপোরাল মেমব্রান্স অক্সিজেন ডিভাইস) রাখা হয়েছিল। তাঁর ফুসফুস বা হার্ট কাজ করছিল না বলে এই যন্ত্রের সাহায্য তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল।
৬৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে তাঁর দল এআইএডিএমকের কর্মী-সমর্থকেরা সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। তাঁরা তাঁদের প্রিয় আম্মার শারীরিক অবস্থার খবর জানতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন। কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ঠেকাতে অ্যাপোলো হাসপাতালের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ‘পুরুতচি থালাইভি’ বা ‘বিপ্লবী অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত ছিলেন এক সময়ের তুখোড় অভিনেত্রী থেকে রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে ওঠা জে জয়ললিতা। অনুগামীরা তাঁকে ‘আম্মা’ সম্মোধন করতেন। আম্মার অনুপস্থিতিতে দল ও সরকার চালানোর জন্য বিকল্প মুখ হয়তো খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু আম্মার কোনও বিকল্প খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, গোটা এআইএডিএমকে জুড়েই এখন বিলাপের সুরে।