আয়না২৪ ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং সুক সেদেশে সর্বেসর্বা৷ তিনিই ইশ্বর, তিনিই যিশু৷ তবে কি না সারা বছর যে ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করে মানুষ সেই অনুষ্ঠানই বাতিল করতে হবে তাঁকে ? হ্যাঁ করতে হবে বইকি৷ কোনও প্রশ্ন তোলা যাবে না৷ না, মানে উত্তর কোরিয়া বাসিন্দারা তো প্রশ্ন তোলার কথা ভাবতেই পারেন না৷ কারণ তাঁদের শাসক কিম জং উনের নির্দেশ বলে কথা! এ বছরের জন্য দেশবাসীকে যিশুকে ভুলে তাঁর মৃত দাদীকে ( ঠাকুমা) স্মরণ করতে বলেছেন কিম জং উন৷
প্রসঙ্গত, কিম জং উনের ঠাকুমা কিম জং সুক জন্মেছিলেন ক্রিসমাস ইভে৷ তিনি জাপানবিরোধী গেরিলা ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ সেদেশে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন কিম জং উনের ঠাকুমা৷ শুধু তাই নয়, কিম জং সুক ছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম শাসক কিম ইল সাং এর স্ত্রী এবং প্রাক্তন নেতা কিং জং ইলের মা৷ ১৯৪৯ সালে মৃত্যু হয় উত্তর কোরিয়ার তাঁর৷ তাই সেদেশের বাসিন্দারা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার বদলে কিং জং সুকের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন৷
তবে অবশ্য এর আগেও খ্রিষ্টান ধর্ম সমন্ধীয় অনেক কিছুতেই তীব্র ঘৃণা প্রদর্শনের উদাহরণ রয়েছে৷ প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে ক্রিসমাস গাছ লাগানোয় তিনি শুধু সেগুলি উপরে ফেলার ব্যবস্থা করেই খান্ত হননি, যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন৷