আয়না ২৪ ডেস্ক
কানাডার কুইবেক সিটিতে একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার এ ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের সভাপতি বিষয়টি জানিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিন বন্দুকধারী কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে ৪০ জনের ওপর গুলি করে।
কুইবেক পুলিশ টুইটারে গুলির বিষয়টি জানিয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকে হামলা শিকার হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের।’ পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মসজিদের সভাপতি মোহামদ ইয়াংগুই বলেন, ‘এখানে কী হচ্ছে? এটা বর্বর।’
ইয়াংগুই বলেন, তিনি হামলার সময় মসজিদের ভেতর ছিলেন না। সন্ধ্যার নামাজের সময় তিনি লোকজনের আর্তনাদ শোনেন। কতজন আহত হয়েছেন তা তিনি জানেন না। তাঁদের কুইবেক সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফ্রান্সের মতো কুইবেকে ধর্ম নিরপেক্ষ পরিচয় ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে, যেখানে উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।
২০১৫ সালের নির্বাচনে কুইবেকে নিকাব বড় আলোচনার বিষয় হয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষ নিকাব নিষিদ্ধের পক্ষে ছিল।
সম্প্রতি কুইবেক সিটিতে ইসলাম-আতঙ্ক বেড়েছে। ২০১৩ সালে কুইবেকের স্যাগুয়েন অঞ্চলের মসজিদে পুলিশ তদন্ত করে। মসজিদটিতে শুকরের রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
২০১৫ সালে অন্টারিও প্রদেশে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগের দিনই প্যারিসে বন্দুকধারীরা আত্মঘাতী হামলা চালায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশে মুসলিম শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যদিও আদালত তাঁর আদেশের আংশিক স্থগিত করেন।
নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারা শরণার্থীদের তাঁর দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানান।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি মসজিদ আগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। তবে এর কারণ জানা যায়নি।