আয়না২৪ ডেস্ক
জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুখে ক্যামেরা বসিয়েছে ইসরাইল। মুসলিমদের কাছে হারাম আল-শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত পবিত্র এই জায়গাটিতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনা ও বিক্ষোভের মধ্যেই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলো।
এর আগে এক হামলায় দু’জন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হওয়ার পর ইসরাইল সেখানে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছিলো যার তীব্র প্রতিবাদ করে আসছে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। এখানে দুজন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হবার পর থেকেই এই নিরাপত্তা বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলো শুরু হয়। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আল-আকসা মসজিদে ঢোকার পথে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে দেয় এবং ৫০ বছরের কম বয়স্কদের সেখানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ফিলিস্তিনিরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তাদের চোখে এটা এই পবিত্র স্থানটির ওপর দখলদার ইসরাইলিদের আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা আয়াত আবু লিদবাহ বলছেন, এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে মুসলিমদের এখানে নামাজ পড়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
মেটাল ডিটেক্টর গেটগুলোর ব্যাপারে তিনি বলছেন, ‘এসব গেট আমাদের ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা একটা পবিত্র জায়গা এবং সে কারণেই এগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত। আমরা এখানে আল্লার কাছে প্রার্থনা করতে যাই , এখানে প্রবেশে বিরত রাখার জন্য কোন গেট থাকা উচিত নয়।’
আজমি হাশিম নামে আরেক ব্যক্তি বলছেন, এটা একটা খুবই স্পর্শকাতর স্থান। এখান থেকেই শান্তির শুরু এবং শেষ। গোটা পৃথিবীই যদি শান্তিতে থাকতে চায় – তাহলে তার শুরু এখানেই। এই ইলেকট্রনিক গেট বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা দানা বেঁধেছিল তার চূড়ান্ত রূপ পায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে।
দুই তরফের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে তিন জন ইসরাইলি। এর পর ইসরাইলের মনোভাবে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায় – একজন ঊর্ধ্বতন ইসরাইলি কর্মকর্তা মুসলিম বিশ্বের প্রতি বিকল্প নিরাপত্তা পদক্ষেপ কী হতে পারে তার প্রস্তাব দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এগুলো ইসরাইল বিবেচনা করবে। এখন ওই এলাকায় নতুন নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমেও আভাস দেয়া হচ্ছে এর ফলে হয়তো মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেয়া সম্ভব হতে পারে। তবে ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। বিবিসি।