আয়না২৪ ডেস্ক
আফগানিস্তানের উত্তরে সার-ই-পুল প্রদেশের সিদ জেলায় জঙ্গি হামলায় বেসামরিক নারী ও শিশুসহ ৫০ জন নিহত হয়েছে। জানা গেছে, ভয়াবহ এই হামলার প্রথম লক্ষ্য ছিল একটি নিরাপত্তা চৌকি। যেটি স্থানীয় পুলিশ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ছিল।
সেখানে হামলার পর আততায়ী জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা পাশের গ্রামে ঢুকে পরে। এরপর নির্দয়ের মতো মূলত শিয়া মুসলিম গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালাতে থাকে। সেই হামলা থেকে রেহাই পায়নি নারী এবং শিশুরাও। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বেসামরিক নাগরিকদের এখানে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিকভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, এই হামলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ জন সদস্যকেও হত্যা করা হয় এবং বেশ কয়েকজন বিদ্রোহীও নিহত হয়েছে।
হামলায় তালেবান এবং আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী একসঙ্গে মিলে অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এমনকি তাদের মাঝে বিদেশীও থাকতে পারে। আর তারা সকলেই সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী বলে দাবি করছে আফগান সরকার। অবশ্য তালেবান গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি নাকচ করে দেয়া হয়েছে। তারা কেবল সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া দলের ২৮জন সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
জঙ্গিদের এমন হামলা মানবতাবিরোধী বলে নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানী। এক বার্তায় তিনি জানান, ‘আবারো সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে। তাদের এই বর্বর আইন মানবাধিকারের সরাসরি লংঘন এবং এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।’
সম্প্রতি বহুবার হামলা-সহিংসতার শিকার হয়েছে আফগানিস্তান। এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস বা তালেবান। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ ধরনের হামলায় ১৬৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর সহায়তা বাড়ানোর জন্যে সেখানে আরো সেনা ও পুলিশ সদস্য বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি