আদালতে আবারও প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
Spread the love

আয়না ২৪ ডেস্ক 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ উঠল না মঙ্গলবারও।  স্থগিতাদেশ এসেছিল সিয়াটল ফেডেরাল কোর্টের তরফে। যা রদের আর্জি জানিয়ে সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। প্রাথমিক ভাবে সেই আর্জি খারিজ করে মামলায় সোমবার পর্যন্ত যুক্তি পেশের সময় দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। কিন্তু এ দিনের শুনানিতে আদালত বুঝিয়ে দেয়, যুক্তি এ বারও যথেষ্ট নয়। ট্রাম্প তাই আবারও খাপ্পা। ফের কোর্টের উপরেই। মঙ্গলবারই এক টুইট-বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘পক্ষপাতদুষ্ট বলব না, কারণ মামলার ফয়সালা হয়নি। তবে কোর্টের আচরণে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছি।’’

সোমবারই ১৫ পৃষ্ঠার বিবৃতি দিয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানায়, ‘‘ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিরপেক্ষ ভাবেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ফের জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তার কথা বলেও আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা হয়। যদিও তা ধোপে টেকেনি। উল্টে ট্রাম্পের এই প্রশাসনিক নির্দেশ আদতে মুসলিম-বিরোধীই কি না, প্রশ্ন তুলে দেয় আপিল আদালতের তিন বিচারপতির প্যানেল। সন্ত্রাস-রোখার যুক্তি দিয়ে আমেরিকায় যে সাতটি দেশের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, আদৌ তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য-প্রমাণ আছে কি না— জানতে চায় আদালত।

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্বের ১৫ শতাংশ মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আদৌ এটিকে ‘মুসলিম-বিরোধী’ বলা যায় কি না, জানতে চাওয়া হয় মামলাকারী ওয়াশিংটন-মিনেসোটা স্টেটের আইনজীবীর কাছেও। তবে সওয়াল-জবাবের শুরুতেই বিচারপতিদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন সরকারি আইনজীবী তথা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সরকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের বিশেষ উপদেষ্টা অগাস্ট ফ্লেঞ্জ। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘‘প্রেসিডেন্ট জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেই একটা রুটিন নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সিয়াটল ফেডেরাল কোর্টের স্থগিতাদেশে তা অন্য মোড় নিয়েছে।’’

কোর্ট তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়— ‘‘তার মানে কি বলতে চান, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত আদালতে পর্যালোচনার প্রয়োজনই ছিল না!’’ কয়েক মিনিট থমকে যান অগাস্ট। স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রায়কে ‘হাস্যকর’ বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট।  আদালতকে দুষেছিলেন। আজ যদিও হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার বলেন, ‘‘আদালত অবমাননার প্রশ্নই ওঠে না।’’ আপাতত ‘নিষিদ্ধ’ তালিকায় নতুন দেশের নাম জুড়বে না বলেও জানান তিনি। অবশ্য ট্রাম্পের নির্দেশিকা নিয়ে অনড়ই হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প নিজেও বলেন, ‘‘আমরা নিরাপত্তা চাই। আদালতের আচরণে সেটাই প্রশ্নের মুখে।’’