আয়না২৪ প্রতিনিধি, বরগুনা
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় গত মঙ্গলবার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের ১৮ টি প্রকল্পের দরপত্রের লটারি অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা সদরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন হয়েছে।
আজ সকাল ১০ টায় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেতাগী উপজেলাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির , পৌর মেয়র ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এবিএম গোলাম কবির, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদুদর রহমান, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি ও দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে বক্তারা বেতাগী উপজেলাকে বরগুনা জেলা থেকে পৃথক করে পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে অর্ভূক্তির দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তৃতা দেন, বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান কবির, পৌর মেয়র গোলাম কবিরসহ স্থানীয় বিভিন্ন আ.লীগ,বিএনপিম যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ।
অন্যদিকে, আজ সকাল ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে বেতাগী উপজেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের ৪ কোটি টাকার ১৮টি প্রকল্পের দরপত্রের লটারির প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া ও হামলা চালিয়ে বরগুনা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল ইসলামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া ও অপর এক ঠিকাদারকে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। এসময় সমাবেশে হামলাকারীদের বিচারের দাবি করা হয়। জেলা ঠিকাদার সমিতি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। কর্মসূচি চলাকলে সমাবেশে বক্তৃতা দেন জেলা ঠিকাদার সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. হুমায়ন কবির, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের ৪ কোটি টাকার ১৮টি প্রকল্পের দরপত্রের লটারির সময় হামলায় বরগুনা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুলের মাথা ফেটে যায় এবং অপর এক ঠিকাদার আহত হন। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনার পর লটারি ভণ্ডুল হয়ে যায়। বুধবার এঘটনায় আহত যুবলীগ নেতার জাহিদুলের বাবা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও তিন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ নয় জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটিকে আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।