বরিশাল প্রতিনিধি
নিরপেক্ষ ছায়া সরকার ও সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া আওয়ামীলীগ সকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। সরকার চাচ্ছে সংসদ বহাল রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে। এবারে সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।
বরিশালে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সকালে এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে নগর বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, কথা না শুনলে এখন ইউএনওকে পর্যন্ত জেলে পুড়ে দেয়। এদের লক্ষ্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের পানে ফেরার। কিন্তু আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তার প্রথম সংসদে সব দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়্ এসেছিলেন। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মনে রাখতে হবে বিএনপি হল উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল।
ফকরুল আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪ টি মামলা দিয়েছে। আওয়ামীলীগ চাচ্ছে বিএনপি নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে আদালতের বারান্দায় রেখে নির্বাচনের প্রচারণা থেকে বাইরে রাখতে। এবার আর সরকারকে সেই সুযোগ দেয়া হবে না।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের রেশ ধরে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য অথচ তিনি বলেন পালিয়ে গেছেন। ফকরুল বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীরা পালায় না। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেরকালে আওয়ামীলীগের নেতারা কেউ পাকিস্তান কেউ ভারতে পালিয়েছেন। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে থেকেই যুদ্ধ করেছেন। এক এগারোর সময় আওয়ামীলীগের নেতারা আমেরিকায় পালিয়ে গিয়ে অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেবেন এই মর্মে দেশে ফিরে ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করছেন।
ফখরুল উল্লেখ করেন এই সরকারের অধীনে আমরা কেন নির্বাচনে অংশ নেইনি তার বড় প্রমাণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কারচুপি করতে কার্পণ্য করে না বলে। এসময় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রণ রক্ষায় এবারের জাতীয় নির্বাচনে আপনার ভোট এবং কেন্দ্র পাহাড়া দিতে হবে।
এসময় নতুন যারা সদস্য হবেন এবং নবায়ন করবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,দলে কোন বিভেদ নয়, ভিন্ন কিছু নয়, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আমাদের নেতা মনে রাখতে হবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল নগর বিএনপর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিনসহ অন্য নেতারা।
মহাসচিবের দুদিনের কর্মসূচি অনুয়ায়ী আজ বিকেলে তিনি উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে অংশ নিবেন। বুধবার হবে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজনে একই কর্মসূচি।