বরগুনা প্রতিনিধি
ঈদে কর্মস্থলে ফেরা বাসযাত্রীদের কাছ থেকে ঢাকা ও অভ্যন্তরীণ পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন অন্তত ৪০ টি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী পরিবহন করছে। এসব বাসে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া গুণেও যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছেন না। ভোগান্তির পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের ৫-৬ ঘন্টা পর তাদের গন্তব্যে পৌছাতে হচ্ছে।
যাত্রীরাজানান,বরগুনা থেকে ঢাকায় ঈদের আগে শাকের পরিবহনে ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা এখন তা ৮০০ টাকা, ইলিশ পরিবহনে আগে ৫০০ টাকা নেওয়া হলেও এখন তা ৭৫০টাকা, সাকুরা পরবিহনে আগে বরগুনা থেকে সায়েদাবাদ ৫০০ টাকা, বর্তমানে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বরগুনা ঢাকার গাবতলী পথে আগে ৫৫০ টাকা ভাড়ার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। সোনারতরী পরিবহন আগে ৫৫০ টাকার স্থলে ৭৫০ টাকা, হানিফ পরিবহনে আগে ৫৫০ টাকার স্থলে ৭৫০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একই অবস্থা আবদুল্লাহ পরিবহনেও।তারা আগে সায়েদাবাদে ৫৫০ টাকা করে ভাড়া নিলেও এখন ৬৫০টাকা ভাড়া নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার ইলিশ পরিবহন নামেবাসটি সকাল ৭ টার দিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘন্টা পর দুপুর ১ টার দিকে যাত্রী নিয়েঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাসটি। এছাড়া শাকের পরিবহন নামের একটি বাস সকাল সাতটায় দিকে বরগুনা থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার কথা কিন্ত দুপুর ১টার দিকেও বাসটিবরগুনায়্ এসে পৌছায়নি। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ।
ইলিশ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সাইফুল ইসলাম বলেন,‘যানজট ও রাস্তাখারাপ থাকায় সময় মত গাড়ি গন্তব্য পৌছতে পারে না।’ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথাস্বীকার করে তিনি বলেন,‘ঈদের বিশেষ সার্ভিসের জন্য বাস কোম্পানীগুলো ভাড়া বৃদ্ধি করেছেতাই আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি।’
বরগুনা সদরউপজেলাররায়ভোগগ্রামের বাসিন্দা ও শাকের পরিবহন বাসের যাত্রীমো.আসাদুজ্জামান বলেন ঈদের আগে ৬৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতাম এখন সেখানে ৭৫০টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া সকার ৭ টায় গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১ টায়ওগাড়ি এসে বগুনায় পৌছায়নি। ৭ ঘন্টা ধরে বাসস্ট্যান্ডে স্ত্রী ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বসে আছি।’ ভুতমারা গ্রামের আছিয়া নামের আরেক যাত্রী জানান, সকাল ৬টায় বরগুনা টাউনসংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন।এখন দুপুর ১ টা। গাড়ির খবর নেই। ৬৫০ টাকার স্থলে ৭৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি।
জানতে চাইলে বিআরটিএর বরগুনা-পটুয়াখালী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের হোসেন বলেন,এবিষয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি রয়েছে। এরপরেও যদি কেউ বেশি ভাড়া আদায় করে তবে খোঁজ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।