আমতলী প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলার পাতাকাটা নূরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
জানাগেছে, উপজেলার পাতাকাটা নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে। শুরুতেই নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ভবনটি অনেকদিন ধরেই জরাজীর্ণ ছিল ।
মঙ্গলবার সকালের সিফট শেষে দুপুর ১২ টায় দ্বিতীয় পালা শুরু হয়। দ্বিতীয় পালায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশের পরেই বিকট শব্দে ভবনের পাঁচটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুড়কি ধসে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দৌঁড়ে বিদ্যালয় ভবনের বা্রই বের হয়ে যায়।এতে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া, উসমিতা, মরিয়ম, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইমন ও ওবায়দুল্লাহসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচটি কক্ষের সবকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুড়কি ধসে পড়ে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও মেঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছাদ ও বিমগুলো থেকে পলেস্তারা ও সুড়কি পরে রড বের হয়ে গেছে। আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করছে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশামনি, তিশা,লিমন ফকির, মারুফা, ইমন চন্দ্র ও নাঈম জানান, ক্লাসে প্রবেশের পরপরই বিকট শব্দে ভবনের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পড়ে। আমরা দৌড়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে কোন মতে রক্ষা পেয়েছি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুনীল চন্দ্র মন্ডল ও রেকসোনা লাইজু বলেন, বিকট শব্দে একই সাথে ভবনের চারটি কক্ষের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পরে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডাক চিৎকার দিয়ে ভবন থেকে বের হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ বিলকিস নাহার বলেন, বিদ্যালয় ভবন ধসের খবর তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ওই ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী । আপাতত পাশে টিনসেট ভবনে ক্লাস নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।