আয়না২৪ প্রতিনিধি, আমতলী
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও ঘুষ দুর্নীতির প্রতিবাদে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক মানববন্ধন করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী-কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে মহাসড়কের কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই মানববন্ধন হয়।
সকাল ১১ টায় কল্যাণপুর স্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতির ভুমি জরিপের আওতায় আমতলী সদর ইউনিয়নের নীলগঞ্জ, উত্তর টিয়াখালী ও পুজাখোলা মৌজায় কর্মরত কর্মকর্তারা ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জরিপের কাজে সংশ্লিষ্টরা ঘুষ নিয়ে ইচ্ছা মাফিক নকশা তৈরি করে জরিপ কাজ চালাচ্ছেন। এতে অনেক কৃষক তাদের জমি হারাচ্ছেন। অনেকের কবলা করা জমিও সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত করে রেকর্ড করছে। রেকর্ড, পরচা ও নাম জারি সংশোধনের কথা বলে এলাকার মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিচ্ছে।
সমাবেশে পুজাখোলা গ্রামের কৃষক বাদশা খান বলেন, পুজাখোলা মৌজার জে এল নম্বর ৩৬ , ৩৫১৪ খতিয়ানে তিন একর ৩০ শতাংশ জমি আমার পৈত্রিক সম্পতি। কিন্তু জরিপ কাজে নিয়োজিত সার্ভেয়ার মোটা অংকের অর্থ নিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আলী গংদের নামে সেই জমি রেকর্ড করে দিয়েছে।
একই অভিযোগ করেন, সেকান্দারখালী গ্রামের আবদুল জব্বার হাওলাদার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নীলগঞ্জ মৌজার ২৫২ খতিয়ানের ৩ একর ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি আমার ওয়ারিশদের মধ্যে রেকর্ড না করে অন্য লোকদের নামে রেকর্ড করা হযয়েছে। এ ভুল সংশোধন করতে গেলে সার্ভেয়ার ওয়ালি উল্লাহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন।
সমাবেশে আরো বক্ততো দেন কৃষক আবদুস সালাম হাওলাদার, আবদুল রাজ্জাক, আবদুল হালিম, আবদুল মালেক হাওলাদার ও আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
আবদুল রাজ্জাক জানান ১৯৬৫, ১৯৭০ এবং ২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে এ এলাকার ৭০ ভাগ ঘর বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এ কারনে অনেক ভুমি মালিকদের কাগজপত্র না থাকায় জরিপে সমস্যা হচ্ছে। এ সুযোগে জরিপ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মোটা অংকের ঘুষ নিচ্ছেন।