আয়না২৪ প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলী উপজেলায় গোপন বৈঠক করার অভিযোগে শুক্রবার বিকেলে আটক হওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় আজ শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার আমতলী উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এই পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ ব্যক্তি জামায়াত নেতা ও কর্মী। তাঁরা নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করতে ওইদিন আমতলী শহরের মাদানি নগর মাদ্রাসায় গোপনে বৈঠক করছিল।
আমতলী থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে আমতলী শহরের মাদানি নগর হাফেজি ও কওমিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল আমিন তাঁর কক্ষে ১০-১২ জন জামায়াতের নেতা-কর্মী নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। এসশয় সেখান থেকে জামায়াতের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী এ কে এম ফখরুদ্দিন আল রাজি,অধ্যক্ষ নূরুল আমিন, ইসলামী ব্যাংক কর্মী মো. আবদুর রহমান, আমতলী উপজেলার চন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গাজী কামাল হোসেন ও পশ্চিম ছোনাউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদকে আটক করা হয়। এসময় সেখান থেকে বেশ কয়েকটি মুঠোফোন, জামায়াতের সদস্য সংগ্রহের ফরম ও বেশকিছু সাংগঠনিক গোপন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আমতলী থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই) মো. আবদুল খালেক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুরে পুলিশ আটক পাঁচ ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমতলীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ব