আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্টমার্টিন। দেশী-বিদেশী পর্যটক সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই দেশী-বিদেশী পর্যটক ও ভিভিআইপিসহ শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় পর্যটন দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে দ্বীপে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বছরে এদেশে আর্থিক ক্ষতি হয় ৫২ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে যেসব মানুষ মারা যান, তার ১৬ শতাংশই মারা যান পরিবেশ দূষণের কারণে। যেখানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় দুই গুণ। দেশটিতে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর পাশে গেলে এটি আরও পরিষ্কার হয়। তারপরও আমরা পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছি। পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হবে। একইসঙ্গে দখলকৃত সব জমি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে ৬০০ মামলা করা হয়েছে। যেগুলো চলমান। পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সামনের সংসদ অধিবেশনে নতুন পরিবেশ আইন উঠছে। তাছাড়া গ্রুপ অব কোম্পানিগুলো যেন নদী দূষণ করতে না পারে এজন্য নজরদারি হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানা সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে’।
আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকায় পর্যটনকে নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা থাইল্যান্ডের ফি ফি দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পর্যটন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে রক্ষা করতে হলে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
দ্বীপের সার্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে পরিবেশ অধিদপ্তর ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা প্রকল্প’ নামে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান শরিফুল ইসলাম। এ প্রকল্পে কেয়াবন পুনর্নির্মাণ, কোরালের রিজেনারেশন ও কনজারভেশন, কোরাল সংগ্রহকারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।