আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে স্কটিস প্রাণী বিজ্ঞানীরা একটি ক্লোন ভেড়ার জন্ম দিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়েছিলেন। ওই ভেড়ার নাম রেখেছিলেন ডলি। কিন্তু এবার চীনা প্রাণী বিজ্ঞানীরা বিশ্বের প্রথম ক্লোন বানরের জন্ম দিলেন। ঝং ঝং এবং হুয়া হুয়া নামের এই দুটি ক্লোন বানর জন্ম দেন তাঁরা কয়েক সপ্তাহ আগে।
চীনা অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী কিয়াং সান সংবাদমাধ্যমগুলো জানান, এই ক্লোন বানরকে তাঁরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জিনগত ত্রুটির গবেষণা ও নিরাময়ের কাজে কাজে লাগাবেন। বর্তমানে এসব গবেষণায় গিনিপিগকে কাজে লাগানো হয়।
স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া প্রথম ক্লোন ভেড়া ডলিকে ক্লোন করার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, ক্লোন বানর জন্মের ক্ষেত্রে সেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে চীনা বিজ্ঞানীরা।
এরমধ্যে ঝং ঝং-এর জন্ম হয় ৮ সপ্তাহ আগে এবং হুয়া হুয়ার জন্ম হয় ছয় সপ্তাহ হলো।
বানরশাবক দুটিকে বোতলের সাহায্যে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে এবং সাধারণ বানরশাবকের মতই এরা বেড়ে উঠছে। চীনা বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা একই পদ্ধতি ব্যবহার করে এরকম আরো বানরশাবক জন্ম দেওয়া পরিকল্পনা করছেন।
যদিও অনেক প্রাণীবিজ্ঞানী ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে এভাবে বানরশাবক জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন। ভিন্ন মত দেওয়া এসব বিজ্ঞানীদের মত হল, এই পদ্ধতি ব্যভহার করে প্রাণী জন্মানোর কারণে পৃথিবী মানুষের ক্লোনিং করার ঝুঁকির কাছাকাছি চলে এসেছে। কারণ, বানর হ জেনেটিক গঠনের ক্ষেত্রে মানুষের খুব কাছাকাছি প্রাণী।
কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড্যারেন গ্রিফিন এই ভিন্নমত ধারী বিজ্ঞানীদের অন্যতম।