• Home  / 
  • জাতীয়  / 

২১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ  দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে ।  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে যোগ হচ্ছে ১৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। ওই দিন সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম তাদের গ্লোবাল অপারেশন চালু করতে যাচ্ছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ ৫ এর সংক্ষিপ্ত রূপই হচ্ছে সি-মি-উই ৫। এটি এক কনসোর্টিয়াম যাতে সংযুক্ত রয়েছে ১৭টি দেশের ১৫টি শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর। তারা তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে তাদের অপারেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনোয়ার হোসেইন জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। এটা আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়। সমুদ্রের তলদেশের ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশ সর্বদা অনলাইনে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ট্রেডের সঙ্গে পুরোদমে যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পায়। আর দ্বিতীয় ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ১৫০০ জিবিপিএস বাড়তি মিলবে।  

তবে এ প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ হয়তো উদ্বোধনের দিন থেকেই পূর্নাঙ্গ ব্যান্ডউইথের সুবিধা পাবে না। রাজধানী ঢাকা এবং পটুয়াখালীতে সি-মি-উই ৫ এর স্টেশনের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত বিষয় এতে বাধ সাধতে পারে। সংশ্লিষ্ট কাজ হয়তো সময়মতো সম্পন্ন হবে না।কিন্তু এ বিষয়ে আশাবাদী বিএসসিসিএল। সময়মতোই সব কাজ শেষ করা হবে বলে মনে করছেন মনোয়ার হোসেইন। 

বাংলাদেশ সি-মি-উই ৫ কনসোর্টিয়ামে যোগ দেয় ২০১৪ সালের মার্চে। এতে খরচ হয় ৬৬০ কোটি টাকা। মোট খরচের মধ্যে সরকার ১৬৬ কোটি টাকার জোগান দেয়। বিএসসিসিএল দিয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। আর আকি ৩৫২ কোটি টাকা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ সি-মি-উই ৪ পায় ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে তার জীবন অর্ধের গড়িয়েছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই আরেকটি ক্যাবলের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ভারতের রয়েছে ৮টি সংযোগ, পাকিস্তানের ৪টি এবং শ্রীলঙ্কার ৪টি।