সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা দেশের পরবর্তী সিইসি

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (‍সিইসি) হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের অন্য চার কমিশনার হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁদের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন। 
সচিবালয়ে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁদের মনোনয়ন দিয়েছেন। রাতেই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সিইসি হিসেবে যাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সুপারিশে সিইসি হিসেবে তাঁর নাম ছিল না।
এর আগে সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা বঙ্গভবন ছেড়ে যান। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দল থেকে নেওয়া নাম থেকে ১০টি নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি। সুপারিশে সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও আলী ইমাম মজুমদারের নাম সুপারিশ করে অনুসন্ধান কমিটি।
এ ছাড়া কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদার, জারিনা রহমান খান, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নাম সুপারিশ করা হয়।

তাঁদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সিইসি ও ইসির সদস্য বেছে নেন।

বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সর্বশেষ বৈঠক হয়। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান।

গত ২৫ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর ছয়টি বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। আর রাজনৈতিক দল থেকে নাম পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি দুটি বৈঠক করে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দলনিরপেক্ষ, সাহসী, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ করেছেন। তাঁদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) হতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে, মেরুদণ্ড হতে হবে সোজা। যাতে চাপ কিংবা হুমকির মুখেও প্রভাবমুক্ত হয়ে তারা কাজ করতে পারে।

ইসি গঠনে ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারীসহ ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্য তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনার শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।