আয়না২৪ প্রতিবেদন
চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার ‘চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণকক্ষ’ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সারা দেশে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করবে। আজ সোমবার থেকে এর কাজ শুরু হচ্চে।
এর আগে রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সভায় এ নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত তিন মাসে ৬৪৩ জন ব্যক্তির রক্ত ও লালার নমুনা পরীক্ষা করেছে ইইডিসিআর। এর মধ্যে ৫১৩ জন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হয়েছে। দেশে একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানেই চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করার প্রযুক্তি আছে।
প্রসঙ্গত, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর কোনো টিকা নেই। তাই প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই আকস্মিক জ্বর, সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়ি বা দানা হয়। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ডেঙ্গু হলেও শরীর ব্যথা করে, তবে খুব তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব আরও কিছু দিন থাকবে। এ বছর ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও আগামী বছরগুলোতে দেশের অন্য জেলায় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।