• Home  / 
  • জাতীয়  / 

শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে আদালতে নেওয়া হয়নি

Spread the love

আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক

শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। বুধবার তাকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজির করার দিন ধার্য ছিল।

কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি অসুস্থ। শারীরিক অক্ষমতার কারণে আদালতে হাজির করা গেল না।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বুধবার আদালতে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতকে তিনি এ কথা জানান।

বুধবার মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশও ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করেনি।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার উপস্থিতিকে ঘিরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে আসেন।

এ পর্যায়ে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

তখন কৌঁসুলি কাজল এর বিরোধিতা করে বলেন, খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকায় তার জামিনের কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, জামিনের সঙ্গে কারাগারে থাকা বা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ৫ এপ্রিল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করেন এবং ওইদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ আদালত রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওইদিনই তাকে নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তিনি সেখানেই আছেন।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে।

এদিকে একই বিচারক গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।