আয়না২৪ প্রতিবেদন
নিন্ম আদালতের সাজা হাইকোর্টে হ্রাস পাওয়ায় সন্তুষ্ট নয় নিহত দর্জি দোকানি বিশ্বজিতের পরিবারের সদস্যরা। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ের পর বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত কুমার দাস ও মা কল্পনা রানী দাস কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এক প্রতিক্রিয়ায় অনন্ত দাস বলেন, আমরা কি যে দুঃখ পেয়েছি, তা বলার মতো না। সারাদিন না খেয়ে অপেক্ষায় ছিলাম রায় শোনার জন্য। কিন্তু এই রায় শুনে খাব কি করে? আমাদের আবেদন নিম্ন আদালতের রায় যেন বহাল থাকে।
কল্পনা দাস বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে আমরা খুশি হতে পারিনি। আমার বিশ্বজিতকে যারা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তির রায় আমি যেন দেখে যেতে পারি।
বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম দাস বলেন, সবাই আশা দিয়েছিল যে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছে, তা উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে। কিন্তু এখন কি থেকে কি রায় আসল! এমনটা তো আমরা চাইনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিশ্বজিেক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিরীহ ওই যুবককে দিন-দুপুরে নৃশংসভাবে হত্যার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখে আঁতকে উঠেছিল দেশের মানুষ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আদালতে এই হত্যা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক নিজামুল হক ৮ জনকে ফাঁসি ও ১৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।