আয়না২৪ ডেস্ক
সিঙ্গাপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আজ শুক্রবার রাতেই বিমানে উঠছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ ফ্লাইটে তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী স্ত্ সুষমা সিনহা।
ইতোমধ্যে ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থানের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেন। এর পরে সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ওই বাসায় প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সহকারী আনিসুর রহমান।
এর আগে রোববার রাতে তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা থাকলেও সরকারি আদেশের (জিও) কারণে যেতে পারেননি। পরে বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্ত ওই আদেশ জারি করে। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির আবেদনে এর আগে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিচারপতি সিনহা যেহেতু আরও বেশি দিন বিদেশে থাকবেন, সেহেতু রাষ্ট্রপতি নতুন আদেশ দিয়েছেন।’
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।
১৪ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিচারিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংসদে ওই দিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়, যাতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করেছেন।
২৭ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ৩ জুলাই খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।